• Thursday, March 28, 2024

চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সামলাতে প্রযুক্তি হস্তান্তরের আহবান শেখ হাসিনার 

  • Sep 26, 2018

মানবসভ্যতার গতিপথ পাল্টে দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে চতুর্থ যে শিল্পবিপ্লবের আগমন নিয়ে সারা বিশ্বে আলোচনা চলছে, তার অভিঘাত সামাল দিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে স্বল্পমূল্যে ও সহজে প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাI

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের আয়োজনে এক আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্র সচিব মো.শহীদুল হক জানান, জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন দ্য ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভুলিউশন’ শীর্ষ এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেনI

“প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে আরও কারিগরি পরিবর্তন আসন্ন। আসন্ন এই চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় স্বল্পমূল্যে সহজে প্রযুক্তি হস্তান্তর করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব’I”

বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কার, বিদ্যুতের ব্যবহার এবং ট্রানজিস্টার আবিষ্কার ব্যাপক শিল্পায়ন সৃষ্টির মাধ্যমে মানবসভ্যতার গতিপথ বদলে দিয়েছিল বলে ওই তিন ঘটনাকে তিনটি শিল্পবিপ্লব হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এখন বলা হচ্ছে, ডিজিটাল প্রযুক্তির নিত্যনতুন উদ্ভাবনের পথ ধরে আসছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, যেখানে বহু প্রযুক্তির এক ফিউশনে ভৌতজগৎ, ডিজিটালজগৎ আর জীবজগত পরস্পরের মধ্যে লীন হয়ে যাচ্ছে।

আগামী দিনে শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং স্বাস্থ্য খাতের ওপর এই চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রভাব বিভিন্ন দেশ কীভাবে মোকাবেলা করবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয় ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের অনুষ্ঠানে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েতো, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট, জনসন অ্যান্ড জনসনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যালেক্স গোরস্কি এবং মজিলা ফায়ারফক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস বিয়ার্ড এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেনI

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ কীভাবে মোকাবেলা করবে- এই প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আয়তনে ছোটো, কিন্তু এর জনসংখ্যা বিশাল। বিপুল এই জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা ও যথাযথ শিক্ষা নিশ্চিত করা বাংলাদেশের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জI

এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জনগণের কর্মসংস্থান যেন নিশ্চিত করা যায়, সেজন্য তাদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করার উদ্যোগের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীI

এ প্রসঙ্গে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অভিযাত্রা, তথ্য-প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি, শিক্ষা খাতের আধুনিকায়ন, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ এবং চার কোটি শিক্ষার্থীর মধ্যে বৃত্তি দেওয়ার কথাও প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন।

মার্ক রুট তার বক্তব্যের শুরুতে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে এ সময় দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানান।

এ অনুষ্ঠানের পর নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন শেখ হাসিনাI২০১৯ সালের জানুয়ারিতে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের বার্ষিক সভায় শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানান রানি ম্যাক্সিমাI