• Thursday, April 25, 2024

শিবগঞ্জে গোলাম রাব্বানী এমপির বাড়িতে নাশকতার মামলায় ৫ জনের ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যাল

  • Oct 16, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক : চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর শিবগঞ্জ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানীর বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫ জনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় এ হামলা হয়েছিল। জরিমানা করাও হয়েছে ১০ হাজার টাকা। অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যাল। একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১৪ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ইউনিয়নের সেতাউর রহমান, শরীফুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম ওরফে টুটুল ও মৃণাল হোসেন এবং ইয়াসির আরাফাত। রায়ের পর তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে সাংসদ গোলাম রাব্বানীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নাশকতার এ মামলার রায়ে তিনি সš‘িষ্ট প্রকাশ করে এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, সে সময় তার বাড়ি সহ তার ভাইয়ের বাড়িতে যে নাশকতা চালানো হয়েছিল তা অত্যান্ত ভয়াবহ ছিল। এ রায় প্রমান করে যে আইনের উর্দ্ধে কেউ নয়। অন্যায় করলে একদিন সবাইকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর দুপুরে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে শিবগঞ্জের কানসাটে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানীর বাড়িতে হামলা করে অবরোধকারীরা। কানসাটের পুকুরিয়া এলাকায় রাব্বানীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। তার বড় ভাই আবু বাক্কার সিদ্দিকীর বাড়িতেও আগুন দেয় তারা। হামলার সময় ভাঙচুর ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।

রাব্বানীর বাড়িতে দেয়া আগুনে একটি ট্রাক, একটি প্রাইভেট কার, কয়েকটি মোটরসাইকেলসহ অনেক আসবাব পুড়ে যায়। পরে নাশকতার এই ঘটনায় শিবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাণী ইসরাইল বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য পরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ওই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে মঙ্গলবার রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে রায় ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু। আর আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এনামুল হক (জুনিয়র)।