• Saturday, April 20, 2024

পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তায় আবাসিক ভবন তৈরি করবে সরকার

  • Nov 24, 2018

পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তা ঝুঁকি কমানো ও জীবনমান উন্নয়নে আবাসন সংকট নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এলক্ষ্যে পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য একটি ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের জন্য নয়টি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে। পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য রাজধানীর গুলশানে এবং ঢাকা মহানগর এলাকার বিভিন্নস্থানে অন্য পুলিশ সদস্যদের জন্য আরও নয়টি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে। ১৪ থেকে ২০ তলা পর্যন্ত এসব ভবন নির্মাণে ব্যয় হবে এক হাজার একশ’ কোটি টাকারও বেশি। আগামী তিন বছরের মধ্যে এসব ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মহানগর এলাকায় বর্তমানে ৩৩ হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য কর্মরত রয়েছেন। তারা পুলিশ সদর দফতর, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) পুলিশ স্টাফ কলেজ, রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স (আরআরএফ), রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল, এপিবিএন, ঢাকা জেলা পুলিশ, স্পেশাল ব্র্যাঞ্চ (এসবি) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগসহ (সিআইডি) বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু ঢাকায় কর্মরত পুলিশের এই বিপুল সদস্যের জন্য চাহিদার তুলনায় আবাসন সুবিধা খুবই কম।

বর্তমানে ডিএমপিতে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের মাত্র নয় শতাংশ সদস্য আবাসন সুবিধা পাচ্ছেন। বাকি ৯১ শতাংশ পুলিশ সদস্যই ব্যক্তি মালিকানাধীন বাসায় ভাড়া থাকায় নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। সেই নিরাপত্তা ঝুঁকি কমানো ছাড়াও তাদের আবাসিক সংকট নিরসনে অনেকগুলো আবাসিক ভবন প্রয়োজন।

তারপরও প্রস্তাবিত এসব আবাসিক ভবন নির্মিত হলে পুলিশ সদস্যদের আবাসন সংকট অনেক সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, পুলিশের নিরাপত্তা ঝুঁকি ও তীব্র আবাসন সংকটের কথা মাথায় রেখেই পুলিশ সদর দফতর থেকে এসব ভবন নির্মানের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। ভিভিআইপি ছাড়াও পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষণিক নাগরিকসেবা ও নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকেন। সেজন্য ডিএমপি এলাকায় পুলিশ সদস্যদের জন্য নয়টি আবাসিক টাওয়ার নির্মাণ করার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ৯৭৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকা মহানগরী এলাকায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। নবেম্বর (২০১৮) থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে গণপূর্ত অধিদফতর এসব ভবন নির্মাণ করবে।

নয়টি ভবনের মধ্যে ২০ তলা বিশিষ্ট ছয়টি, ১৫ তলা বিশিষ্ট একটি ও ১৪ তলা বিশিষ্ট দু’টি ভবন হবে। এসব ভবনে ২৬টি প্যাসেঞ্জার লিফট, আটটি কার্গো লিফট, তিনশ’ কেভিএ জেনারেটর, অগ্নি নির্বাপণ ও কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং সিস্টেমসহ বিভিন্ন সুবিধা থাকবে এসব ভবনে।

এছাড়া গুলশান এলাকায় আরও ১১৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য ১৪ তলা বিশিষ্ট আরেকটি আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে। ভবনটি হবে ২টি বেজমেন্টসহ ১৬ তলা ভিত্তির ওপর। তিনটি লিফটসহ অন্যান্য সুবিধার পাশাপাশি ৮০০ কেভিএ বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশনও থাকবে এ ভবনে। থাকবে ১৫০ কেভিএ জেনারেটর।

পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ শাখার এআইজি সোহেল রানা বলেন, ‘নিরাপত্তা ঝুঁকি ছাড়াও পুলিশ সদস্যদের জরুরি আবাসিক সংকট নিরসনে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর এরইমধ্যে এসব প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।’ সিডিউল অনুযায়ী এসব ভবনের কাজ শুরু করা হবে বলেও আশা করেন তিনি।