• Saturday, July 27, 2024

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য প্রতিবেদন মেডিকেল বোর্ড বানিয়েছে ॥ রিজভী 

  • Sep 17, 2018

Share With

খালেদা জিয়াকে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে নিয়ে যাওয়ার জন্যই সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ী মেডিকেল বোর্ড ‘ম্যানুফ্যাকচারিং প্রতিবেদন’ দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

এ ধরনের প্রয়াসকে ‘একগুঁয়েমি ও প্রতিহিংসাপরায়ণ’ উল্লেখ করে বিএনপি নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডে তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের অন্তর্ভুক্ত করে বেসরকারি কোনো বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

আজ সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।

গত ৯ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির প্রতিনিধিদল। বৈঠকে তাঁরা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার দাবি জানান। এরপর খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এ মেডিকেল বোর্ড যা সুপারিশ করবে, সে অনুযায়ীই খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করা হবে বলে তিনি জানান।

গঠিত পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সদস্য হলেন বিএসএমএমইউর ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক আবদুল জলিল চৌধুরী, কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. হারিসুল হক, অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক আবু জাফর চৌধুরী, চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তারিক রেজা আলী এবং ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. বদরুন্নেসা আহমেদ।

গতকাল রবিবার চিকিৎসকরা তাঁদের প্রতিবেদন দেন। পরে বিএসএমএমইউর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুন জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেখে চিকিৎসা করানোর জন্য অগ্রাধিকারের পরামর্শ দিয়েছেন মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। বর্তমানে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ নয়। নতুন করে কোনো রোগে তিনি আক্রান্ত হননি। খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনা করেই তাঁর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন বোর্ডের সদস্যরা। খালেদা জিয়ার আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। তাঁর সব ধরনের চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সরকারি মেডিকেল বোর্ডের এ পরামর্শ ‘একদেশদর্শী ও সার্বজনীন চিকিৎসানীতির পরিপন্থী’ উল্লেখ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘একজন রোগীকে তাঁর পছন্দ অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া উচিত, এটি তাঁর মানবাধিকার, সেটি না করে কর্তৃপক্ষ জোর করে নিজেদের পছন্দের চিকিৎসকদের দিয়ে দেশনেত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো চরম প্রতিহিংসাপরায়ণ জেদেরই বহিঃপ্রকাশ।’

রিজভী আরো বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছিলাম, দেশনেত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে সরকার দলের অনুগত বোর্ড সদস্যরা সরকারের পছন্দানুযায়ী পরামর্শ দেবেন, সেটিই প্রমাণিত হলো। দেশনেত্রীর স্বাস্থ্য যদি ঝুঁকিপূর্ণ না হয়, তাহলে অন্যের সাহায্য ছাড়া তিনি এপাশ-ওপাশ হতে পারেন না কেন?’