আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- Aug 08, 2018
মো.সাজেদুল হক সাজু :
স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিমান বিবেচনায় আম আমাদের দেশে সব চেয়ে জনপ্রিয় ফল। এ কারনে আমাদের দেশে আমকে ফলের রাজা বলা হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে ১০ ল মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয় তার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩ ল মেট্রিক টন। আমের রয়েছে বহুবিধ ব্যবহার। আম থেকে আচার, চাটনি, আমসত্ব্য, স্কোয়াশ সিরাপ তৈরি করা হয়। বর্তমানে বিদেশে আম রফতানীর সম্ভব উজ্বল হওয়ায় বৈদেশীক মৃদ্রা অর্জনে গুরুত্ব পূর্ণ হতে পারে। বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার আম গাছকে জাতীয় বৃ হিসাবে ঘোষণার মাধ্যমে আমের স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। বাংলাদেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রাজশাহী জেলায় ব্যপক ভাবে আমের চাষাবাদ ও উৎপাদন হয়ে থাকে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের ফলন হেক্টর প্রতি ৬ টন। প্রতিবেশী দেশ ভারতে আমের ফলন হেক্টর প্রতি প্রায় ১০ টন। এখন আমের বিএআরআই এখন পর্যন্ত আমের হাইব্রিড সহ ১১টি জাত উৎভাবন করেছে। মহানন্দা, আম্রপালি, বারি আম-২, বারি আম-৪, বারি আম-৫, বারি আম-৬,বারি আম-৭ বারি আম-৮, বারি আম-৯, বারি আম-১০ ও বারি আম-১১। আম প্রায় যে কোন প্রকার মাটিতে জন্মে তবে আম গাছের জন্য মাটি গভীর হওয়া প্রয়োজন। তবে দোঁয়াশ মাটিতে আম ভাল হয়। আম উৎপাদনের েেত্র প্রধান বাধা হলো পোকা মাকড় ও রোগ বালায়ের আক্রমন। তবে রোগ বালাইয়ের উপর আবহাওয়ার বিশেষ প্রভাব রয়েছে। এতে করে আমের মুকুল, কচি পাতা, পাতার কুড়ি, আমের গুটিসহ পূর্ণাঙ্গ আমের তি সাধন করতে পারে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইন্টস্টিউটটের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষনা কেন্দ্র চাঁপাইনবাবগঞ্জে দীর্ঘদিন যাবৎ আমের নতুন জাত উদ্ভাবন উন্নত বাগান ব্যবস্থাপনা ও রোগ বালাই দমনে কৃষকদের প্রশিন দেওয়ায় আম চাষ বেড়ই চলেছে। তবে কিছু অসাধুব্যবসায়ী অত্যন্ত গোপনে কালটার সহ বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করায় পূর্ন বয়স্ত গাছ গেিলাকে মেরে ফেলছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমকে বানিজ্যিক ভাবে চাষাবাদের জন্য ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তিটি সব চেয়ে সফল। এই পদ্ধতিতে ভাল ফলাফল আসাই আম চাষিরা ফ্রুট বাগিং এর দিকে ঝুঁকে পড়েছে। ফ্রুট বাগিং এর প্রয়োগ কনায় রাসায়নিক ও বালাইনাশক অনেকটা কমে গেছে আম ও ভালো থাকছে। চলতি বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন আম বাগানে বিপুল পরিমান আম ধরে আছে। শত ব্যস্ততার মাঝেও আপনি একনজর দেখে যেতে পারেন আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
সবুজ চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্বপ্ন দ্রষ্টা প্রয়াত জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাকে সবুজ শহরে পরিনত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রয়াত জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম, তবে সে স্বপ্ন পূরনের আগেই তিনি ছেড়ে চলে যান না ফেরার দেশে। তবে তার স্বপ্ন পূরনে এগিয়ে আসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম, তিনি পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সীমানা প্রাচীর সবুজ রং করেন, পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও টাউন কাবের সভাপতি মাহমুদুল হাসান কাব সুপার মার্কেটের সামনের অংশসহ, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরের সামনের দেয়ার সবুজ রং করার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেন। ইতিমধ্যে সাধারণ পাঠাগার গ্রীনভিউ স্কুল, ট্রাফিক বক্স সহ বেশ কিছু স্থাপনা সবুজ রং করা হয়েছে। প্রয়াত জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলামের পরিকল্পনা ছিলো, চাঁপাইনাবগঞ্জ শহরের কেউ আসলে যেন তার চোখে শুধুই পড়ে সবুজ আর সবুজ, তিনি বলতেন এ জেলার আম বাগানের সবুজমত হয়ে আছে, এ সবুজের মাঝে অন্য রং খুব বেশি বেমানান দেয়ায়, তাই তিনি পরিকল্পনা নিয়েছিলেন, প্রথমে সরকারি স্থাপনা গুলো সবুজ রং করার, পরে শহরের বাসিন্দাদেরও বাড়ির বাইরের অংশ সবুজ রং করার জন্য অনুরোধ করার কথা বলেছিলেন, তবে তার স্বপ্ন এখনো অনেকটায় পূরণ হয়নি, অনেক সরকারি দপ্তরের গায়ে লাগেনি সবুজ রং। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল ওদুদ প্রয়াত জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলামের স্মরনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার প্রবেশ মূখে আমের প্রতিককৃতি করবেন বলে জানান।
আমের ভাল ফলনেও মন ভার ব্যবসায়ীদের আমের নায্য দাম নিশ্চিত করতে, বাড়াতে হবে আমের বহুমুখি ব্যবহার
স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিমান বিবেচনায় আম আমাদের দেশে সব চেয়ে জনপ্রিয় ফল। এ কারনে আমাদের দেশে আমকে ফলের রাজা বলা হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে ১০ ল মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয় তার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩ ল মেট্রিক টন। আমের রয়েছে বহুবিধ ব্যবহার। আম থেকে আচার, চাটনি, আমসত্ব্য, স্কোয়াশ সিরাপ তৈরি করা হয়। বর্তমানে বিদেশে আম রফতানীর সম্ভব উজ্বল হওয়ায় বৈদেশীক মৃদ্রা অর্জনে গুরুত্ব পূর্ণ হতে পারে। বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার আম গাছকে জাতীয় বৃ হিসাবে ঘোষণার মাধ্যমে আমের স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। বাংলাদেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রাজশাহী জেলায় ব্যপক ভাবে আমের চাষাবাদ ও উৎপাদন হয়ে থাকে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের ফলন হেক্টর প্রতি ৬ টন। প্রতিবেশী দেশ ভারতে আমের ফলন হেক্টর প্রতি প্রায় ১০ টন। এখন আমের বিএআরআই এখন পর্যন্ত আমের হাইব্রিড সহ ১১টি জাত উৎভাবন করেছে। মহানন্দা, আম্রপালি, বারি আম-২, বারি আম-৪, বারি আম-৫, বারি আম-৬,বারি আম-৭ বারি আম-৮, বারি আম-৯, বারি আম-১০ ও বারি আম-১১। আম প্রায় যে কোন প্রকার মাটিতে জন্মে তবে আম গাছের জন্য মাটি গভীর হওয়া প্রয়োজন। তবে দোঁয়াশ মাটিতে আম ভাল হয়। আম উৎপাদনের েেত্র প্রধান বাধা হলো পোকা মাকড় ও রোগ বালায়ের আক্রমন। তবে রোগ বালাইয়ের উপর আবহাওয়ার বিশেষ প্রভাব রয়েছে। এতে করে আমের মুকুল, কচি পাতা, পাতার কুড়ি, আমের গুটিসহ পূর্ণাঙ্গ আমের তি সাধন করতে পারে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইন্টস্টিউটটের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষনা কেন্দ্র চাঁপাইনবাবগঞ্জে দীর্ঘদিন যাবৎ আমের নতুন জাত উদ্ভাবন উন্নত বাগান ব্যবস্থাপনা ও রোগ বালাই দমনে কৃষকদের প্রশিন দেওয়ায় আম চাষ বেড়ই চলেছে। তবে কিছু অসাধুব্যবসায়ী অত্যন্ত গোপনে কালটার সহ বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করায় পূর্ন বয়স্ত গাছ গেিলাকে মেরে ফেলছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমকে বানিজ্যিক ভাবে চাষাবাদের জন্য ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তিটি সব চেয়ে সফল। এই পদ্ধতিতে ভাল ফলাফল আসাই আম চাষিরা ফ্রুট বাগিং এর দিকে ঝুঁকে পড়েছে। ফ্রুট বাগিং এর প্রয়োগ কনায় রাসায়নিক ও বালাইনাশক অনেকটা কমে গেছে আম ও ভালো থাকছে। চলতি বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন আম বাগানে বিপুল পরিমান আম ধরে আছে। শত ব্যস্ততার মাঝেও আপনি একনজর দেখে যেতে পারেন আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
সবুজ চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্বপ্ন দ্রষ্টা প্রয়াত জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাকে সবুজ শহরে পরিনত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রয়াত জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম, তবে সে স্বপ্ন পূরনের আগেই তিনি ছেড়ে চলে যান না ফেরার দেশে। তবে তার স্বপ্ন পূরনে এগিয়ে আসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম, তিনি পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সীমানা প্রাচীর সবুজ রং করেন, পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও টাউন কাবের সভাপতি মাহমুদুল হাসান কাব সুপার মার্কেটের সামনের অংশসহ, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরের সামনের দেয়ার সবুজ রং করার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেন। ইতিমধ্যে সাধারণ পাঠাগার গ্রীনভিউ স্কুল, ট্রাফিক বক্স সহ বেশ কিছু স্থাপনা সবুজ রং করা হয়েছে। প্রয়াত জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলামের পরিকল্পনা ছিলো, চাঁপাইনাবগঞ্জ শহরের কেউ আসলে যেন তার চোখে শুধুই পড়ে সবুজ আর সবুজ, তিনি বলতেন এ জেলার আম বাগানের সবুজমত হয়ে আছে, এ সবুজের মাঝে অন্য রং খুব বেশি বেমানান দেয়ায়, তাই তিনি পরিকল্পনা নিয়েছিলেন, প্রথমে সরকারি স্থাপনা গুলো সবুজ রং করার, পরে শহরের বাসিন্দাদেরও বাড়ির বাইরের অংশ সবুজ রং করার জন্য অনুরোধ করার কথা বলেছিলেন, তবে তার স্বপ্ন এখনো অনেকটায় পূরণ হয়নি, অনেক সরকারি দপ্তরের গায়ে লাগেনি সবুজ রং। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল ওদুদ প্রয়াত জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলামের স্মরনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার প্রবেশ মূখে আমের প্রতিককৃতি করবেন বলে জানান।
আমের ভাল ফলনেও মন ভার ব্যবসায়ীদের আমের নায্য দাম নিশ্চিত করতে, বাড়াতে হবে আমের বহুমুখি ব্যবহার
স্বাদ ও পুষ্টিগুন বিবেচনায় আম আমাদের দেশে সব চেয়ে জনপ্রিয় ফল। এবার আমের রাজধানীতে ভালই ফলন হয়েছে, তবে বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর আমের কম দামে ব্যবসায়ীদের মন ভার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিবছরই আমের বাগান বাড়ছে, ফলে বাড়ছে ফলনও , তাই আমের নায্য দাম নিশ্চিত করতে বাড়াতে হবে আমের বহুমুখি ব্যবহার, আর তা করতে না পারলে ভাল ফলনেও ফুটবে না আম চাষীর মুখে হাসি। এবার আম মৌসুমের শুরুটায় ছিলো রমজান মাসে, এসময় আমের চাহিদা থাকে অনেক কম,সেই সাথে ঈদের আগে সপ্তাহ জুড়ে প্রচন্ড গরমে একসাথে আম পেকে যাওয়ায়, গাছেই ঝরে গেছে আম, তবুও ক্রেতা ও ভাল দাম না থাকায় বাজারে উঠাতে পারেনি অনেক ব্যবসায়ী। ফলে অনেকটা ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। অন্যদিকে ঈদ পরবর্তী আম বাজারেও ক্রেতাদের আনাগোনা খুব বাড়েনি। আগামীতে আমের বাজার কিছুটা চাঙ্গা হওয়ার সম্ভবনা কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা, আর বাজার চাঙ্গা হলে শরুর তি কিছুটা কাটিয়ে উঠা সম্ভব। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সবচেয়ে বড় ও সারা দেশের মধ্যে বৃহৎ আম বাজারের তকমা গায়ে জড়ানো শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট আম বাজারে শনিবার গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই বাই সাইকেল ও ভ্যানে করে আম নিয়ে আসছেন আম ব্যবসায়ীরা। কানসাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে আম বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভাল মানের হিমসাগর, বিক্রি হচ্ছে ১৬০০-১৮০০ টাকা মন, একটু বাঝারি মানের ১৪০০ টাকা, আর ছোট সাইজের টা বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা মন দরে। অন্যদিকে ল্যাংড়া ভালটা ১৫০০-১৬০০টাকা মন, অন্যদিকে বিভিন্ন জাতের গুটি আম ১০০০ টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারের সবচেয়ে নি¤œ মানের আম গুলো যাচ্ছে, বিভিন্ন জুস কম্পানীতে, দাম ৩০০ টাকা মন।
আমের দামদর করতে দেখা যায়, ঝন্টু মিয়া নামে এক স্থানীয় ব্যাপারীকে। তিনি ঢাকায় আম পাঠাচ্ছেন, তারমুখেই জানা গেল বাজারের দূর অবস্থার কথা। ঝন্টু কমদামে আম কিনতে পারলেও বলছিলেন, আম বাগানে যে পরিমান কীটনাশক দেয়া থেকে অন্য খরচ আছে, আর বাজারে আম বিক্রি করে যে টাকা পাবেন,তাতে ব্যবসায়ীরা অনেকটা ক্ষতির মুখেই পড়েছেন। আতাউর রহমান এক আম বিক্রেতা জানান, আমের চাহিদা যেন নাই, গতবছর সবচেয়ে খারাপ আমও ৫০০ টাকা মন ধরে জুস কম্পানীর কিনেছে, এবার ২০০ টাকা মন দরেও নিতে চাই না। আমরা যাব কোথায়, জুস কম্পানী যদি বাড়তি দামে কিনে, তাহলে ভাল আমটা আরো বাড়তি দামে বিক্রি করা যায়। অন্তত ২ হাজার থেকে ২৬০০ টাকা মন হয়। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে শফিকুল ইসলাম নামে কানসাট শিবনগর এলাকার এক আম ব্যবসায়ী বলে উঠেন, ‘‘ সরকারকে বলেন, হারগে আম গালা যেন বাইরে পাঠানো একটু ব্যবস্থা করে, না হলে আমের দাম নাই, ব্যবসায়ীরা একদম মরে যাবে। ’’ ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় আম পাঠানোর জন্য কানসাট আম বাজারে কয়েকশ আমের আড়ৎ রয়েছে। তবে এবার এখন পর্যন্ত অনেক আড়ৎতেই কার্যক্রম শুরু হয়নি। আর্পিতা ট্রেডার্স নামে একটি আমের আড়ৎ এ গিয়ে কথা হয় এর মালিক রঞ্জন দাসের সাথে, তিনি জানালেন ঈদের পর থেকে বেচাকেনা একটু বেড়েছে, তবে ঈদ করে মানুষজন ঢাকায় ফিরছে, ঢাকায় আমের চাহিদা বাড়বে এখন,বাজারও চাঙ্গা হবে আশা করছি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক, মঞ্জুরুল হুদা জানান, দিন দিন এ জেলায় আমের বাগান বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই সাথে ফলনও বেড়েছে। এবার বাজারে আমের দাম কিছুটা কম, তবে ব্যবসায়ীরা যাতে আম বিক্রি করতে পারেন, সেই লক্ষে আমরা অনলাইনে বিভিন্ন প্রচারণা চালাচ্ছি, এছাড়াও আম পরিবহনের সময় যাতে কোন ধরনের ঝামেলায় পড়তে না হয়, সে জন্য পুলিশ প্রশাসনের সাথে আমাদের কথাবার্তা হয়েছে, তারা আমাদের সহযোগিতা করছেন। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তিনদিন ব্যাপী একটি আম উৎসব এ মাসের শেষে অনুষ্ঠিত হবে, আমের পর্যটন সম্ভবনাকে এগিয়ে নিতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি জানান, ২৯ হাজার ৫১০ হেক্টর আম বাগানে প্রায় ৩ লাখ মেট্রিকটনের বেশি ফলন হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাতের আর্ন্তজাতিক স্বিকৃতি
দেশের তৃতীয় ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিওগ্রাফিক ইন্ডিকেটর পণ্য হিসেবে এবার নিবন্ধিত সুমিষ্ট জাতের ‘খিরসাপাত’ আম। দেশের বিভিন্ন স্থানে যা হিমসাগর নাম হিসাবে পরিচিত। খিরসাপাত নিবন্ধিত হতে যাওয়ায় আনন্দিত জেলার আমচাষী ও ব্যবসায়ীরা। এদিকে, প্রশাসন জানিয়েছেন নিবন্ধন প্রক্রিয়া এখন গেজেটের অপোয়। অপরদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘খিরসাপাত আম’ নামে পরিচিতির পাশাপাশি বিশ্ববাজারে আম রপ্তানী করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আমচাষী ও ব্যবসায়ীরা। এরমধ্যে সবচেয়ে সুস্বাদু ও জনপ্রিয় জাত হচ্ছে খিরসাপাত। জেলায় উৎপাদিত আমের মধ্যে একটি বড় অংশ দখল করে আছে খিরসাপাত জাতের আম।
এবার টবে আম গাছ বাড়বে সবুজ, মিটবে পরিবারের চাহিদা
আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার টবে আমের গাছ লাগানোর বিষয়ে আশাবাদি হয়েছেন গবেষকরা। জনসংখ্যার বৃদ্ধির ফলে যেভাবে জমি কমে যাচ্ছে, এতে করে বাড়ির আঙ্গিনা কিংবা ছাদেই গড়ে তুলতে পারেন শখের বাগান। এমনকি সেই বাগানে আমের একটি বা দু’টি আম গাছও লাগাতে পারেন। সেই আমগাছ থেকেই অনেকাংশেই মিটবে পরিবারের আমের চাহিদা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষনা কেন্দ্রে ২০০৬ সালে টবে লাগানো আম গাছে গত কয়েক বছর থেকে নিয়মিত ফল আসছে, টবে লাগানো গাছের ফলন বাগানে গাছের ফলনের চেয়ে কিছুটা কম হলেও এটাকে সন্তোষজনক মনে করে টবে আমের গাছ লাগানোর বিষয়ে আশাবাদি হয়েছেন গবেষকরা। তারা বলছেন এতে করে বাড়িতে একখন্ড সবুজের সৃষ্টি হবে। ফল গবেষক ড. শরফ উদ্দিন জানান, খুব সহজে বাড়ির ছাদে বা অন্য কোন একটি স্থানে টবে বারি আম-৩ আমের জাতটি লাগাতে পারেন। লাগানোর পরের বছর থেকেই আম ধরা শুরু করবে গাছটিতে, আর টবে লাগানো আম গাছ থেকে অন্তত ১০-১২ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া সম্ভব বলেও জানান তিনি। তিনি আরো জানান, যদি কেউ ৩/৪টি আমের জাত পছন্দ করেন কিন্তু তার মাত্র একটি টব রাখার মতো জায়গা আছে তাহলে দ্বিতীয় বছরে প্রত্যেকটি ডালে কাঙ্খিত জাতের সায়ন দ্বারা টপ ওয়ার্কিং করতে হবে। এই পদ্ধতিতে একটি গাছে অনেকগুলো জাতের সমাবেশ ঘটানো যায়।
আমের রাজধানীতে প্রথম বারের মত তিন দিনের আম উৎসব
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: আমের রাজধানীতে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও জেলার ঐতিহ্যগুলো তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়ে গত ২৯জুন থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত প্রথম বারের মত তিন দিনের আম উৎসব উর্যাপিত হয়েছে। শহরের মহানন্দা নদীর তীরে বারোঘরিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে‘চাঁপাই ম্যাংগো ফেস্ট’ নামে এ উৎসব। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের সচিব জিল্লার রহমান। উৎসবে লাঠিখেলা, গম্ভিরাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে।
জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হাসান জানান, আমের রাজধানীতে পর্যটন শিল্পের বিকাশে লক্ষে ‘চাঁপাই ম্যাংগো ফেস্ট’ এর আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবে আগত পর্যটকরা আম বাগান পরিদর্শন করে আম কিনতে পারবেন, সেই সাথে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখা ও কলায়ের রুটিসহ স্থানীয় খাবারের স্বাদ নিতে পারবেন।