ইয়াবা বহন, বিক্রি ও চোরাচালানের সাজা মৃত্যুদণ্ড
- Oct 08, 2018
আলোকিত ডেস্ক : ৫ গ্রামের বেশি ইয়াবা বহন, বিক্রি, চোরাচালানে যুক্ত থাকলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের প্রস্তাবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ।
আজ সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই খসড়ায় অনুমোদন দেওয়া হয়। সাম্প্রতিককালে দেশে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়া ইয়াবার বিষয়ে কঠোর বিধান রাখা হয়েছে এই আইনে। এই অপরাধে সর্বনিম্ন সাজার প্রস্তাব করা হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ৫ গ্রামের কম বহনে সর্বোচ্চ ১৫ বছর ও সর্বনিম্ন ৫ বছর কারাদণ্ড।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আজ মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয় সচিবালয়ে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এই ব্রিফিং করেন।
সচিব জানান, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের আগের আইনটি ১৯৯০ সালে করা। ২৮ বছরের পুরনো আইনটির সঙ্গে বর্তমানে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী সব আইনের সমন্বয় করে নতুন খসড়া তৈরি করা হয়েছে।’
সচিব জানান, নতুন আইনে এই সময়কালে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়া ইয়াবা নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া হেরোইন-কোকেনসহ ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত মাদকদ্রব্য ২৫ গ্রাম বা তার বেশি পরিমাণে বহনে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড এবং সর্বনিম্ন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ২৫ গ্রামের কম বহনে সর্বোচ্চ ১০ বছরের এবং সর্বনিম্ন ২ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
যে কোনও পাণীয়তে ০.৫ শতাংশ বা এর বেশি পরিমাণ অ্যালকোহল থাকে তাহলে সেটি বিয়ার হিসেবে গণ্য হবে। এই জাতীয় পণ্য বিক্রির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। লাইসেন্সের কোনও শর্ত ভঙ্গ করলে, লিখিত প্রদান সাপেক্ষে এক লাখ টাকা জরিমানা পরিশোধ করতে হবে।