উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি
- Sep 30, 2024
অতিবর্ষণ ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। প্রবল স্রোতে রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারি, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নদীগুলোতে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। মানুষজন ঘরবাড়ি ছেড়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয় উঁচু স্থানে ও বাঁধে আশ্রয় নিচ্ছেন। ওই অঞ্চলে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট।
গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত কুড়িগ্রামের বৃষ্টি ও উজানের ঢল কমে আসায় তিস্তা অববাহিকার বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। তিস্তার পানি গত এক দিনে ৩৯ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদী অববাহিকার চরাঞ্চলসহ নিচু এলাকার ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে গেলেও এখনও তলিয়ে আছে শত শত হেক্টর জমির আমন খেত।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, প্রত্যেক বছরের জুলাইয়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়। তবে অন্যান্য বারের তুলনায় এবার বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
প্লাবিত জেলাগুলোর অনেক জায়গায়ই এখনো পানির নিচে রয়েছে। পানিবন্দি অন্তত কয়েক হাজার মানুষ। বেশিরভাগ মহাসড়কগুলো এখনো পানির নিচে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
রংপুর, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের প্রায় ৬৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি। এসকল দুর্গত এলাকায় আবাদি জমির অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এক নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, “বন্যার পানিতে প্রায় সাড়ে ৪০০ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত। এর মধ্যে রোপা আমনের ক্ষতি কম হলেও অন্যান্য ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।”
সূত্র: ঢাকা ট্রিবিউন, ঢাকা পোস্ট