ঐক্যফ্রন্টে কাদের সিদ্দিকী
- Nov 05, 2018
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগ।
আজ সোমবার দুপুরের দিকে কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সভাপতি কাদের সিদ্দিকী নিজেই এই ঘোষণা দেন। এসময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আব্দুর রব, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, তানিয়া রব ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৩ নবেম্বর এক আলোচনা সভায় কাদের সিদ্দিকী বলেছিলেন, ‘আমি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যাবো কিনা, তা সোমবার জানাবো। এরপর আজ সংবাদ সম্মেলনে তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়ার কথা জানান।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এই মুহূর্ত থেকে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগদান করছি। পাকিস্তানি দোসররা যদি জনতার কাছে পরাজিত হতে পারে, তাহলে লড়াইয়ের মাধ্যমে নব্য স্বৈরাচারও পরাজিত হবে। কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পাশে থাকবে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। লড়াই করবো আমরা, আর আইনি সহায়তা দেবেন ডক্টর কামাল হোসেন।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশ চালানোতেই আজ দেশের এ অবস্থা হয়েছে। আমরা নিরন্তর চেষ্টা করেছি দেশের পরিস্থিতি সুষ্ঠু স্বাভাবিক করতে। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আলোচনায় সম্মত হওয়ায় আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি, ডিসেম্বরে তিনি একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করবেন।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব বলেন, ‘আজকের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাস। কাদের সিদ্দিকী ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সাতদফা দাবি আদায়ে লড়াই করতে একমত হয়েছেন। আমি তাকে অভিনন্দন জানাই। এ লড়াই গণতন্ত্রের লড়াই।’
কাদের সিদ্দিকী ঐক্যফ্রন্টে যোগদানের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারের লড়াই আরও সুদৃঢ় হলো উল্লেখ করে রব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, সাতদফা দাবি মানতে হবে। তা নাহলে এ যাত্রায় রক্ষা নাই। ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না। কিসের ইভিএম, ভোট চুরির? আমাদের দাবি মানতে হবে। নির্বাচন করতে চাইলে সমস্যার সমাধান করতে হবে।’
নির্বাচন না করে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিলে সরকারকেই তার দায়-দায়িত্ব নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এছাড়াও যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয়ক মোস্তফা মহসীন মন্টু, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহজাহান প্রমুখ।