• Thursday, November 21, 2024

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪ উপজেলায় নির্বাচন রোববার

  • Mar 23, 2019

Share With

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ আগামীকাল রবিবার। এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, ভোলাহাট, গোমস্তাপুর ও নাচোল উপজেলায় অনুষ্ঠিত হবে এ নির্বাচন। চার উপজেলায় তিন পদে নির্বাচনে লড়াইয়ে নেমেছেন ৫০ প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৩, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২২ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে কে কে নির্বাচিত হচ্ছেন তা জানা যাবে রবিবার।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের চার উপজেলায় ৩২৭টি ভোট কেন্দ্রে ৭ লাখ ৯৩ হাজার ১৮৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ভোট গ্রহণকে সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন অফিস।

জেলা নির্বাচন অফিসার মোতাওয়াক্কিল রহমান জানান, এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাট উপজেলায় একযোগে ভোটগ্রহণ করা হবে।

তিনি জানান, শিবগঞ্জ উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নে ১৬৬ ভোট কেন্দ্র ও ১ হাজার ৩২টি ভোট কক্ষ রয়েছে। ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ১৬ হাজার ১৩২জন। এ মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ১২ হাজার ৪৩৯ ও মহিলা ২ লাখ ৩ হাজার ৬৯৩ জন।

অপরদিকে, একটি পৌরসভা ও ৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নাচোল উপজেলায় ৫৫টি ভোট কেন্দ্রে ও ২৮৩টি ভোটকক্ষে ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৫৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩ হাজার ৪৩ ও মহিলা ৫৩ হাজার ৫১৪ জন।

অন্যদিকে, একটি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গোমস্তাপুর উপজেলায় ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৭৪টি এবং ভোট কক্ষ রয়েছে ৪৯৪টি। এ উপজেলার ভোটার হচ্ছেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৯৬ হাজার ৯২৫ ও মহিলা ৯৯ হাজার ৩৭৩ জন।

এছাড়া, ভোলাহাট উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৩২টি, ভোটকক্ষ রয়েছে ২০০টি। ভোটার রয়েছেন ৭৪ হাজার ১৯৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৬ হাজার ১৪৩ ও মহিলা ৩৮ হাজার ৫৩ জন। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য এরই মধ্যে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

এদিকে ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রচার শেষ হয়েছে। এখন সব প্রার্থীরই অপেক্ষা নির্বাচনের দিন পর্যন্ত।

চার উপজেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি শিবগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আরো দুজন দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

তাছাড়া চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে পরিচিত।

শুধু ভোলাহাট উপজেলায় আওয়ামী লীগের একজন থাকলেও চেয়ারম্যান পদে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত দুজন প্রার্থী রয়েছেন। এদের একজন দল থেকে পদত্যাগ ও অন্যজন বহিষ্কৃত হয়েছেন।

শিবগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম (নৌকা), প্রার্থী মহসীন আলী (আনারস), জামাল হোসেন পলাশ (মশাল) ও মেহেদী হাসান (টেলিভিশন)।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, মোহা. গোলাম কিবরিয়া (টিউবওয়েল), মো. গোলাম মূর্শেদ পারভেজ (মাইক), মোহা. মজিবুর রহমান (চশমা), মোহা. রফিকুল ইসলাম (তালা) ও মোহা. সাইফুল ইসলাম (উড়োজাহাজ)।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন মোসা. নুরজাহান (ফুটবল), মোসা. নুরজাহান খাতুন (হাঁস), মোসা. শিউলি বেগম (প্রজাপতি)।

নাচোলে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, আবদুল কাদের (নৌকা), শামসুল আলম (মোটরসাইকেল), আবু রেজা মোস্তফা কামাল শামীম (আনারস) ও বিশ্বনাথ মাহাতো মাজু (ঘোড়া)।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (টিয়া পাখি), মতিলাল মন্ডল (তালা), মো. মজিবুর রহমান (বৈদ্যুতিক বাল্ব), মো. রেজাউল করিম (চশমা), মো. হাফিজুর রহমান (টিউবওয়েল) ও মো. হারুন আর রশিদ (মাইক)। আরেক প্রার্থী মো. গোলাম বারেকী বই প্রতীক পেলেও নির্বাচনে প্রচারণায় নেই তিনি।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোসা. জান্নাতুন নঈম মুন্নি (হাঁস), মোসা. নাজমা বেগম (কলস), রঞ্জনা বর্মন (ফুটবল), শামীমা ইয়াসমিন (বৈদ্যুতিক পাখা) নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছেন।

ভোলাহাটে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, রাব্বুল হোসেন (নৌকা), আনোয়ারুল ইসলাম (চিংড়ী মাছ) ও বাবর আলী বিশ্বাস (আনারস)।

ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন, মোহা. কামাল উদ্দীন (টিউবওয়েল), মোহা. গরিবুল্লাহ (চশমা), মো. আনোয়ার হোসেন (তালা), মো. মিলন আলী (মাইক) ও রুবেল আহমেদ (উড়োজাহাজ)।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন মোসা. রেশমাতুল আরস (ফুটবল), মোসা. শাহজাদী (হাঁস) ও মোসা. শাহনাজ খাতুন (কলস)।

গোমস্তাপুরে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী হচ্ছেন, হুমায়ুন রেজা (নৌকা) ও আফসার আলী খান (আনারস)।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন – মুহ. হাসানুজ্জামান নুহ (টিউবওয়েল), মু. মুঈন উদ্দিন (চশমা), মো. আশরাফুল হক (টিয়া পাখি), মো. দেলওয়ার হোসেন (তালা) ও মো. সিরাজুল ইসলাম (মাইক)।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আছেন, মোসা. কুইন আরা খাতুন (হাঁস), মোসা. জোহনা খাতুন (ফুটবল), মোসা. মার্জিনা বেগম (কলস), মোসা. মাহফুজা খাতুন (সেলাই মেশিন) ও মোসা. শিরিন আকতার (পদ্মফুল)।