চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উপলক্ষ্যে র্যালি ও আলোচনা সভা
- Sep 22, 2018
স্টাফ রিপোর্টার : শান্তি আমার অধিকার- উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে সময় এখন রুখে দাঁড়ার ” এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উপলক্ষ্যে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে জেলা শহরের নবাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে র্যালিটি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পুনরায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নবাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাসিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলমগীর হোসেন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুহা. তৌফিকুল ইসলাম, হেফজুল উলম এফকে কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. এমরান হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহনাজ বেগম। এ-সময় উপস্থিত ছিলেন, পীস প্রকল্পের মনিটরিং কর্মকর্তা ফিরোজ আলম, পীস প্রকল্পের সমন্বয়কারী মুহাম্মদ আব্দুল বারী, পীস কনসোর্টিয়াম প্রকল্পের উপজেলা মাঠ কর্মকর্তা সেলিম রেজা ও জহুরুল হক,রেডিও ফোকাল রেজাউল করিম টুটুলসহ ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক-সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী।
সদর উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় প্রমোটিং এনগেজমেন্ট অ্যান্ড অ্যাকশন ফর কাউন্ট্রিং এক্স্িট্রমিজম (পীস) কনসোর্টিয়াম প্রকল্পের আওতায় ও রূপান্তরের সহযোগিতায় প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি এ-কর্মসূচির আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। তিনি আরো বলেন শান্তি আমার অধিকার। যদি এটা হয়ে থাকে তাহলে বাস্তবায়ন করাও আমার অধিকার। কারো উপর চাপিয়ে দিলে হবে না। নিজের কাজ নিজেকে করতে হবে। যদি আমি শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই, তাহলে সবাইকে আত্মউপলব্ধি করতে হবে, নিজ নিজ অবস্থান থেকেই। বর্তমানে সরকার যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে আমরা ধীরে ধীরে উন্নয়নের চরম শিখরে উপনীত হয়েছি। এ উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে একটি স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখতে হবে। তিনি সকলকে শান্তির পক্ষে কাজ করার জন্য আহবান জানান।
সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৌফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার মূল উদ্যেশ্য হচ্ছে বিনয়। একজন বিনয়ী কখনো খারাপ কাজ করতে পারে না। আমরা যারা শিক্ষার্থী, অভিভাবক রয়েছি, আমাদের সন্তানদের প্রতি চেষ্টা করব, তারা যাতে খারাপ কাজে জড়িয়ে না পড়ে, তারা যেন কোনো অশান্তির সৃষ্টি করে। আমি দেখছিলাম সিঙ্গাপুরে একটি চুইংগাম খেয়ে কেউ ফেললে তাকে ১ হাজার ডলার প্রথমবার জরিমানা করা হয়। তার দ্বারা আবার একই কাজ হলে ১০ হাজার ডলার জরিমানা। আমরা বাইরে গেলে খুজি কাগজটি কোথায় ফেলব। তাই আজকের যে মুলমন্ত্র তা সবাই বুকে ধারণ করবেন এই আহ্বান করছি।
সভাপতির বক্তব্যে প্রধান শিক্ষক হাসিনুর রহমান বলেন, আমরা সব সময়সময় শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করব কেন না অবশ্যই আমরা শান্তি চাই। আমরা উগ্রতা চাই না। শিক্ষার্থীরা বাবা-মায়ের পর শিক্ষকদের অনুকরণ করে, তারা যা বলে তা মেনে চলে। আমরা সমাজব্যবস্থায় শিক্ষকদের অবদান অনেক। আমি শিক্ষকদের অনুরোধ করব, আমাদের চলন যেন আদর্শ হয়, অনুকরণ করে। আমি শিক্ষার্থীদের বলব, ভালোর পথে থাকো, খারাপকে না বলো।
উল্লেখ্য, সপ্তাহব্যাপী ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে আগামী সোমবার জেলার গোমস্তাপুর উপজেলায় আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসের কর্মসূচি পালন করা হবে।