চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৫ অক্টোবর শুরু হচ্ছে দুর্গাপূজা
- Oct 04, 2018
– দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা –
ডি এম কপোত নবী : চাঁপাইনবাবগঞ্জে সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আর মাত্র কিছুদিন বাকি। পূজাকে কেন্দ্র করে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রায় গত ১ মাস আগে থেকেই মন্ডপে কাজ শুরু করেছেন প্রতিমা শিল্পীরা। জেলায় এবার ১৩২ টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। সদরে রয়েছে ৫৭ টি পূজা মন্ডপ।
তাই এখন এ-জেলার ১৩২ টি মন্ডপে রংতুলির আঁচড় দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। একটু একটু করে প্রতিমার অবয়ব ফুটিয়ে তোলায় ব্যস্ত শিল্পীরা এখন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ এর সভাপতি শ্রী বাবুল কুমার ঘোষ এ প্রতিবেদককে জানান, আগামি ১৫ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে ৫ দিনব্যাপী দুর্গোৎসব। ২০ অক্টোবর দশমীতে বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের পাশাপাশি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম বিপিএম এ প্রতিবেদককে জানান, জেলার প্রতিটি পূজা মন্ডপে পুলিশের বিশেষ টিম কাজ করবে। সাদা পোষাকেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের গোয়েন্দা সদস্যরা থাকবে। পূজাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিক থেকে পুলিশের যা যা করা দরকার সেটাই করা হবে। এ-ছাড়াও র্যাব সদস্যরাও নিরাপত্তার জন্য টহল দিবে।
বারঘোরিয়া বাইশ পুতুল পূজা মন্ডপের প্রতিমা কারিগর শ্রী প্রদিপ পাল জানান, মন্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করেছেন। এখন চলছে তুলির আঁচড়। পাশাপাশি শহর ও উপজেলা সদর এবং বিভিন্ন হাটবাজার এলাকার প্রধান প্রধান সড়কে এবং মন্ডপের প্রবেশ পথে নির্মাণ করা হচ্ছে তোরণ। সুষ্ঠুভাবে শারদীয় উৎসব পালনে যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
তিনি আরও জানান, প্রশাসনের পাশাপাশি পূজা উদ্যাপন পরিষদের পক্ষ থেকেও প্রতিটি মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিমা কারিগর শ্রী প্রদিপ কুমার পালের বাবা শ্রী অসিত কুমার পাল জানান, আমরা ছোটকাল থেকেই বাপ দাদাদেও সাথে প্রতিমা তৈরির কাজ দেখে আসছি। কাজ শেখার পর এক সময় বহুবছর নিজেও প্রতিমা তৈরি করতাম। অসিত কুমার পাল আরও জানান, বয়সের কারণে এখন আর কাজ করতে পারি না তবে আমার বড় দু ছেলে এখন কারিগর। তারা ২২ পুতুল ছাড়া বিভিন্ন মন্ডপের প্রতিমা তৈরি করে থাকে। তিনি আরও জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরেও জেলার ঐতিহ্যবাহী বড় মন্ডপ হচ্ছে ২২ পুতুল মন্দিরের দুর্গা মন্ডপ। দেশের বাইরে তথা ভারত থেকেও অনেক মানুষ পূজার সময় আসে আমাদের এখানে।
ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে হিন্দু ধর্মালম্বী মানুষের যেন আনন্দের কমতি না হয় তার জন্য এরি মধ্যে সকল আয়োজন চলছে সমাপ্তির পথে। ১৫ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে জেলার হিন্দু ধর্মের মানুষ মেতে উঠবে শারদীয় দুর্গোৎসবে যার শেষ হবে বিসর্জনের মধ্যদিয়ে।