• Friday, January 24, 2025

জেলা সদরে শিশু আদালত স্থাপনের বিধান করে সংসদে শিশু (সংশোধন) বিল পাস

  • Oct 23, 2018

Share With

বিদ্যমান আইনের কিছু প্রায়োগিক সমস্যা নিরসনে কয়েকটি ধারায় সংশোধন বিশেষ করে প্রতি জেলা সদরে শিশু আদালত স্থাপনের বিধান করে আজ সংসদে শিশু (সংশোধন) বিল, ২০১৮ পাস করা হয়েছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।
বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ২ এর দফা ১৬ এর পর ১৬ক দফা সন্নিবেশ করা হয়েছে। নতুন দফায় বলা হয়, ম্যাজিস্ট্রেট অর্থ ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৬ এর উপ-ধারা (৩০ এ উল্লেখিত জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, যার অপরাধ আমলে নেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। বিলে একই ধারার দফা ১৮ এর পরিবর্তে নতুন ১৮ দফা প্রতিস্থাপন করা হয়।
বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ১৫ এর পরিবর্তে নতুন ১৫ ধারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। নতুন ধারায় পুলিশ রিপোর্ট বা অনুসন্ধান প্রতিবেদন অথবা তদন্ত প্রতিবেদন পৃথকভাবে প্রস্তুত বা আমলে গ্রহণের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়। বিলে নতুন ১৫ক ধারা সন্নিবেশ করা হয়। এ ধারায় মামলা বিচারের জন্য প্রেরণ বা স্থানান্তর সংক্রান্ত বিধান সংযোজন করা হয়।
বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ১৬ এর পরিবর্তে নতুন ১৬ ধারা প্রতিস্থাপনের বিধান করা হয়। এ ধারায় শিশু কর্তৃক সংঘটিত যে কোন অপরাধের বিচারের জন্য প্রত্যেক জেলা সদরে শিশু আদালত নামে এক বা একাধিক আদালত স্থাপনের বিধান করা হয়। এ ক্ষেত্রে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর অধীন গঠিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল স্বীয় অধিক্ষেত্রে শিশু আদালত হিসেবে গণ্য করার বিধান করা হয়। তবে কোনো জেলায় এ ধরনের ট্রাইব্যুনাল না থাকলে ওই জেলার জেলা ও দায়রা জজ স্বীয় অধিক্ষেত্রে শিশু আদালত হিসেবে গণ্য হবে।
বিলে শিশু আদালতের ক্ষমতা শীর্ষক বিদ্যমান ১৮ ধারার পরিবর্তে নতুন ১৮ ধারা প্রতিস্থাপন করা হয়। নতুন ধারায় বলা হয়, দায়রা আদালত যে সব ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলী সম্পাদন করতে পারে শিশু আদালতও সে সব ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলী সম্পাদন করতে পারবে।
এছাড়া বিলে বিদ্যমান আইনের আরো বেশ কটি ধারায় সংশোধন করা হয়।
জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, নূরুল ইসলাম ওমর, রুস্তম আরী ফরাজী, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, লিয়াকত হোসেন খোকা, ডা. মো. আককাছ আলী সরকার, বেগম নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী, বেগম মাহজাবীন মোরশেদ, বেগম রওশন আরা মান্নান বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে তা কন্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়।