জয়পুরহাটে আগুনে পুড়ে একই পরিবারের ৮জনের মৃত্যু
- Nov 08, 2018
জয়পুরহাটে আগুনে পুড়ে একই পরিবারের সাতজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন একজন। বুধবার রাত ১০টার দিকে জয়পুরহাট শহরের আরামনগর এলাকায় এক বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে লাগা আগুনের ঘটনায় দুলাল হোসেনও (৬৫) মারা গেছেন। এতে ওই দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৮ জনই মারা গেলেন। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় নেয়ার পথে টাঙ্গাইলে তার মৃত্যু হয়।
জয়পুরহাট পুলিশ সুপার জানান, তিনি খোঁজখবর নিয়ে জানতে পেরেছেন, ওই পরিবারের সাতজন মারা গেছেন। রাতেই তিনজন মারা যান। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাতেই মারা যান আবদুল মুমিন (৩৭), তাঁর মা মোমেনা বেগম (৫২), বড় মেয়ে বৃষ্টি বেগম (১৪)। ওই রাতেই দগ্ধ হন মুমিনের বাবা দুলাল হোসেন (৫৮) ও স্ত্রী পরিনা বেগম (৩২), যমজ দুই মেয়ে হাসি ও খুশি (১২) ও এক বছরের শিশুপুত্র তাইমুল ইসলাম (১)। তাঁদের রাতেই জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স করে দ্রুত ঢাকায় বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। ঢাকায় নেওয়ার পথে মুমিনের স্ত্রী পরিনা বেগম, মেয়ে হাসি, খুশি ও শিশু তাইমুল মারা যায়। মুমিনের বাবা দুলাল হোসেনকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসাধীন দুলাল হোসেন জানান, রাত নয়টার দিকে বাড়ির প্রধান ফটকে তালা দিয়ে সবাই শুয়ে পড়েছিলেন। হঠাৎ করে রাত ১০টার দিকে বাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। তখন বাইরের লোক এসে কয়েকজনকে উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশী সেলিম হোসেন বলেন, তাঁরা ওই বাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখেন। তখন বাড়ির প্রধান ফটক বন্ধ থাকায় জানালা ভেঙে তাঁদের উদ্ধার করেন এবং হাসপাতালে ভর্তি করান। তিনজন বাড়িতেই মারা যান। খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে আগুন নেভায়।
জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বলেন, তাঁদের ধারণা, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত।
জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম জানান, রাতেই দগ্ধ পাঁচজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা হাসপাতালেই দেওয়া হয়েছে। দগ্ধ পাঁচজনের শরীরে ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। তাঁরা আশঙ্কাজনক ছিলেন।
রাতেই জয়পুরহাট জেলার ২ নম্বর আসনের সাংসদ আবু সাইদ আল মাহমুদ, জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক মো. জাকির হোসেন ও পুলিশ সুপার রশিদুল হাসান হাসপাতালে যান এবং তাঁদের ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।