‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’কে স্মরণীয় করে রাখবে ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’
- Dec 12, 2018
ডিজিটাল বাংলাদেশের ইশতেহার ঘোষণাকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর পালিত হচ্ছে জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস। তথ্য-প্রযুক্তির সুবিধা সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে দিতে সরকারের বিশেষ উদ্যোগ সর্বমহলে ইতোমধ্যেই প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। প্রযুক্তির সর্বাত্মক ব্যবহারে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান তিনটি খাত- গার্মেন্টস, বৈদেশিক রেমিটেন্স, কৃষি, এই তিনটি সেক্টরে বিশেষ অবদান রাখছে। উন্নয়নের চতুর্থ ভিত্তি হিসেবে ইতোমধ্যেই স্থান করে নিয়েছে আইটি সেক্টর। সরকারের বিশেষ উদ্যোগে পিপল এন টেক কোর্স এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রায় চার সহস্রাধিক বাংলাদেশিকে বছরে ৮০ হাজার ডলার থেকে ২ লক্ষ ডলার পর্যন্ত বেতনের চাকরি প্রদানে সহায়তা করা হয়েছে। তথ্যমতে, ৭টি আউটসোর্সিং ডেসটিনেশনের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম আইটি ডেসটিনেশনের সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবেও বিবেচ্য।
ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আইটি সেক্টর থেকে দেশের মানুষ এখন ৪৩ ধরনের সরকারি সেবা পাচ্ছেন। তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন তরুণ-তরুণীরা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছেন। বিপ্লব ঘটছে সফটওয়্যার শিল্পেও। দেশে তৈরি সফটওয়্যার রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে। এ থেকে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে। সরকারের উদ্যোগ না থাকলে বেসরকারি পর্যায়ে এমন সাফল্য আসতে হয়তো আরো অনেক সময় লেগে যেত।
বাংলাদেশ আইসিটি খাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ পর্যন্ত মোট চারটি পুরস্কার লাভ করেছে। সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ১৭২টি কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। ৫ হাজার ২৭৫টি ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ২০০ ধরণের ডিজিটাল সেবা প্রদান করা হচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমানে মোবাইল সিম গ্রাহকের সংখ্যা ১৩ কোটিরও বেশি। ইন্টারনেট গ্রাহক ৫ কোটি ৭ লাখ ৭ হাজারের বেশি। ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈরে এবং যশোরে হাই-টেক পার্ক স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া রাজশাহী সহ দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে শুরু হয়েছে সিলিকন সিটি স্থাপনের কার্যক্রম। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া শুরু হয়েছে।
২৫ হাজার ওয়েবসাইট নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম ওয়েব পোর্টাল “তথ্য বাতায়ন” চালু হয়েছে যা আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছে। বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সাফল্য তুলে ধরে বক্তব্য দিয়েছেন বিশ্বসেরা সফটওয়্যার কোম্পানি মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। ইন্টারনেট ডট ওআরজি কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা চালু করায় নিজের স্ট্যাটাসে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছেন ফেসবুকের কর্ণধার মার্ক জাকারবার্গ। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শুরু হয় ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার কার্যক্রম “জনগণের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সেবা” স্লোগানে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে “ভিশন-২০২১” ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী, যা এখন পুরোপুরি দৃশ্যমান।