• Thursday, November 21, 2024

ঢাকাসহ সারাদেশে ৫.৩ মাত্রার ভূমিকম্প

  • Sep 12, 2018

Share With

বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া ভারতের আসামে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ দপ্তর (ইউএসজিএস) এবং ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলোজিক্যাল সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৩। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম ইসলাম বলেন, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ২৯৩ কিলোমিটার এবং রংপুর থেকে ১১৮ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে আসামের সপ্তগ্রামের কাছাকাছি এলাকায়, ভূপৃষ্ঠের ৯ কিলোমিটার গভীরে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ভারতের গুয়াহাটি, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং ভুটানের থিম্পু থেকেও এ ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। সকালে অফিস শুরুর পর পর রাজধানীর ভবনগুলো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলে আতঙ্ক তৈরি হয়। দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের অধিকাংশ জেলার পাশাপাশি সিলেট, চট্টগ্রাম অঞ্চলে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে খবর দিয়েছেন প্রতিনিধিরা। ২০১৬ সালের ২৪ অগাস্ট মিয়ানমারে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার এবং ১৩ এপ্রিল ৬ দশমিক ৯ মাত্রার দুটি ভূমিকম্পে পুরো বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে। কয়েকটি ভবন হেলে পড়ে, হুড়োহুড়িতে আহত হয় বহু মানুষ। ওই বছর ৪ জানুয়ারি ভারতের মনিপুর অঞ্চলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ঢাকা, জামালপুর, রাজশাহী, পঞ্চগড় ও লালমনিরহাটে হুড়োহুড়ির মধ্যে আতঙ্কে মৃত্যু হয় পাঁচজনের। বেশ কিছু ঘরবাড়িতে ফাটল দেখা যায়। তার আগে ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল নেপালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে আট হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়; ক্ষয়ক্ষতি হয় ভারত ও বাংলাদেশেও। রিখটার স্কেলে ৪ থেকে ৪ দশমিক ৯৯ মাত্রাকে মৃদু ভূম্পিকম্প হিসেবে ধরা হয়। এ ছাড়া ৫ থেকে ৫ দশমিক ৯৯ মাত্রাকে ‘মাঝারি’, ৬ থেকে ৬ দশমিক ৯৯ মাত্রাকে ‘শক্তিশালী’, ৭ থেকে ৭ দশমিক ৯৯ মাত্রাকে ‘ভয়াবহ’ এবং মাত্রা ৮ এর বেশি হলে ‘অত্যন্ত ভয়াবহ’ ভূমিকম্প বিবেচনা করা হয়।

এদিকে, ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে গাজীপুরে নয় পোশাক শ্রমিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জেলার সালনা এলাকার ডিএনএস প্যান প্যাসিফিক সোয়েটার নামের একটি কারখানার প্রশাসন বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. ফয়সল আহমেদ বলেন, ভূমিকম্পের সময় তাদের কারখানায় অনেকে তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে কমবেশি আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯-১০ জন একটু বেশি আহত হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। গতকাল বুধবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ৫ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে ঢাকাসহ দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা কেঁপে ওঠে। তবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ওই কারখানার অপারেটর মো. মঞ্জুর হোসেন সজল বলেন, ভূমিকম্প টের পেয়ে শ্রমিকরা কাজ ফেলে নিচে নেমে যায়। অন্যান্যের সঙ্গে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে আমিও আহত হয়েছি। আমার মত আরও কমপক্ষে ৯ জন আহত হয়েছেন। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেবেকা সুলতানা জানান, ভূমিকম্পের মাত্রা কম ছিল। কোথাও থেকে কোনো অঘটনের খবর জানা যায়নি।