ঢাকায় ‘৯ম চাঁপাই উৎসব’ অনুষ্ঠিত
- Feb 15, 2019
ঢাকার রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে আজ শুক্রবার ঢাকাস্থ চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা সমিতির ৯ম চাঁপাই উৎসব-২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চীফ প্রসিকিউটর, একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষা সৈনিক, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃতি সন্তান এ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু।
সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চাঁপাই নবাবগঞ্জ-২ আসনের এমপি ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহা. উজির আলী, সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাহতাব উদ্দিন, ডাইসিন কেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, ঢাকাস্থ নাটোর জেলার সভাপতি আব্দুস সামাদ মোল্লা, নওগাঁ জেলা সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি আহমেদ হোসেনসহ চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীরা।
এমপি ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল বলেন, আধুনিক চাঁপাই নবাবগঞ্জের গর্ব আম সংরক্ষণ ও বাজার সম্প্রসারণে জন্য যা যা করা দরকার তার জন্য সংসদে বক্তব্য দেয়া হয়েছে। আমকে কিভাবে সংরক্ষণ ও বাজার সম্প্রসারণ করা যায় তার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিল্পমন্ত্রীসহ বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করা হচ্ছে। সরকার এ জেলার গর্ব ও সম্পদ খিরসাপাত আমের জিআই স্বীকৃতি দিয়েছে। নেতৃত্বের অভাবে সোনা মসজিদ পর্যন্ত ফোর লেন করা হয়নি। তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রেল পথ নির্মাণেও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে এসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে। বাড়বে কর্মস্থান। এড়িয়ে যাবে দেশ। এ জেলায় যাতে কেউ মাদকের ব্যবসা না করে তার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত করার হবে চাঁপাই নবাবগঞ্জকে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম শুধু এ দেশে নয়, বিশ্বেও অনেক খ্যাতি ছড়িয়েছে। সরকার এবারে খিরসাপাত আমের ভৌগোলিক নির্দেশক-জিআইর স্কীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে অনেক সম্ভাবনা থাকলেও আমের বাজার উন্নয়ন হচ্ছে না। এছাড়া বিভিন্ন শিল্পেও অনেক পিছিয়ে আছে। তাই আমসহ বিভিন্ন শিল্প বিকাশে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া দরকার। বিভিন্ন শিল্পের বিকাশ ঘটিয়ে উন্নত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা চাই।
উল্লেখ্য, ’চলো জি ভাই চাঁপাই উৎসবে যাই’-স্লোগানে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে সকাল ৮টা থেকেই চাঁপাই নবাবগঞ্জের কালাইরুটি দিয়ে নাস্তার ব্যবস্থা করা হয়। চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার কৃতী সন্তান ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন শ্রেণি পেশায় অবদান রাখার জন্য সম্মাননা দেয়া হয়। এছাড়া সমিতির সদস্যদের নাম, ঠিকানা ও ছবিসহ একটি সুদৃশ্য ডাইরেক্টরির মোড়ক উম্মোচন করেন। বিকেলে বার্ষিক সাধারণ সভা-এজিএম ও সন্ধ্যায় চাঁপাই নবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী গম্ভীরা পরিবেশন করা হয়।