নকল ও ভেজাল পণ্য বিক্রির অভিযোগ : প্রমানিত হলে ২৫ ভাগ জরিমানার অর্থ পাচ্ছে অভিযোগকারী
- Nov 23, 2018
চাঁপাইনবাবগঞ্জে কসমেটিকস দোকানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা
=============================================
নিজস্ব প্রতিনিধি : জাগো ভোক্তা জাগো, ভোক্তারও আছে অধিকার এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জে কাজ করছে ‘জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর’। নকল পণ্য বিক্রির সত্য অভিযোগ দিন আর জরিমানার ২৫ ভাগ টাকা পকেটে নিন। কি আজব লাগছে কথাটা?
না মোটেও আজব নয়, বাস্তব সত্য। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে এমনি এক ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ দিয়ে অপরাধও ধরা পড়েছে আবার অভিযোগ দেবার জন্য শাস্তি স্বরুপ যে অর্থ জরিমানা করা হয়েছিল কসমেটিক পণ্য বিক্রয় দোকানকে তার ২৫ ভাগ টাকাও যিনি অভিযোগ করেছিলেন তিনি পেয়েছেন। এমনি পাননি টাকা, এটা পেয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ প্রায় সবখানেই কমবেশি নকল আর ভেজাল পণ্যদ্রব্যে ভরে গেছে। খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে কসমেটিক পণ্যও এখন নকল আর ভেজাল হচ্ছে। অতিলোভ আর অল্পতে টাকা কামানোর স্বপ্নে সমাজের কিছু কুচক্রী মহল কৌশলে আসল পণ্যর আড়ালে নকল আর ভেজাল পণ্য দিয়ে চালিয়ে দিচ্ছে। কিছুদিন আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউ মার্কেটস্থ এর এক কসমেটিক দোকানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন অন্য আরেক ব্যবসায়ি।
আল-হায়াত নামক কসমেটিকের দোকানে আমদানিকৃত পণ্যর মোড়কের গায়ে বাংলা ও অন্য কোন ভাষায় আমদানি কারকের নাম, ঠিকানা, উৎপাদন তারিখ, মেয়াদ উর্ত্তীণ্যের তারিখ ও সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য না দিয়ে পণ্য বিক্রি করছে মর্মে একটি লিখিত অভিযোগ আসে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সহকারী পরিচালক মো. নূরুল ইসলামের কাছে। তদন্ত সাপেক্ষ্য আল হায়াতকে বিচারের জন্য শুনানিতে ডাকা হয়। এতে আইনি সহায়তা প্রদান করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।
অভিযোগকারী ও অভিযুক্তের উপস্থিতিতে টানা দু’দিন শুনানি করা হয় এবং এক পর্যায়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। অভিযোগ প্রমানিত হবার পর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর ধারা ৩৭ অনুযায়ী ৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
জরিমানার ২৫ ভাগ ১ হাজার দু’ইশত ৫০ টাকা এ ব্যাপারে যিনি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাকে দেয়া হয়। নকল ও ভেজালের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও কারো দারা প্রতারিত হলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চাঁপাইনবাবঞ্জে অভিযোগ করুন। কাজেই বলতে হয় ভোক্তারও আছে অধিকার।