নতুন মন্ত্রিসভায় রাজশাহীর কে থাকছেন
- Jan 02, 2019

‘নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোটের গেজেট প্রকাশের পরই সব নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন। এছাড়া আগামী ১০ জানুয়ারির আগেই মন্ত্রিসভা গঠিত হবে।’
মঙ্গলবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন দিতে বিএনপি যে দাবি করেছে সেটা কখনো পূরণ হবে না বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘বিএনপির পুনঃনির্বাচনের দাবি মামা বাড়ির আবদার, যা কখনো পূরণ হবে না।’’
এদিকে, রাজশাহীর কে থাকছেন নতুন মন্ত্রিসভায়। এ নিয়ে ইতোমধ্যেই রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভায় রাজশাহীর অন্তত একজন থাকছেন এমনটা আশা করছেন রাজশাহীর সুধিজনরা।
রাজশাহীর ছয়টি আসনেই বিশাল ব্যবধানে এমপি নির্বাচিত হন নৌকার প্রার্থীরা। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের চারজন ও ওয়ার্কার্স পার্টির একজন। এদের মধ্যে রাজশাহী-১ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-২ আসনে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী-৩ আসনে আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী-৪ আসনে বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রকৌশলী এনামুল হক, রাজশাহী-৫ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মনসুর রহমান ও রাজশাহী-৬ আসনে শাহরিয়ার আলম এমপি।
এদের মধ্যে শাহরিয়ার আলাম বর্তমানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন। দশম সংসদের শুরুতেই তিনি মন্ত্রিসভায় স্থান পান। আর নবম সংসদের শেষ দিকে মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছিলেন ওমর ফারুক চৌধুরী। তবে দশম সংসদের মাঝামাঝিতে গুঞ্জন উঠে মন্ত্রিসভায় স্থান পাচ্ছেন প্রকৌশলী এনামুল হক।
রাজশাহীর অনেকের ধারণা, টানা তৃতীয়বার বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হওয়ায় শাহরিয়ার আলম ক্লিন ইমেজের কারণে দ্বিতীয়বারের মত মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন। তবে সিনিয়র নেতা হিসেবে মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিপুল ভোটে তৃতীয়বারের মত নির্বাচিত এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর। আর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে এবার মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবার পৌনে দুই লাখ ভোটের ব্যাবধানে বিজয়ী তিনবারের এমপি প্রকৌশলী এনামুল হক এমপি।
এছাড়াও দুইবারের তরুণ সাংসদ হিসেবে আয়েন উদ্দিনের মন্ত্রিসভায় সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। আর যদি ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবার বাদ পড়েন তবে মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ার পথ খুলতে পারে দলটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার। নতুন এমপি হিসেবে ডাঃ মনসুর রহমানের মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ার সুযোগ দেখছেনা কেউ।
এনামুল হক এমপির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, ‘‘দলীয় মনোনয়নপত্র দেয়ার আগে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেন এনামুল হক। সেসব প্রধানমন্ত্রী এনামুল হককে বলেছিলেন এক লাখ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে এসো। তোমাকে মন্ত্রিসভায় নিবো।’’
তার মতে, রাজশাহীর ছয়জন এমপির মধ্যে দলের জন্য সবচেয়ে বেশী অবদান এনামুল হকের। তিনি দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নামে নিজের অর্থায়নে বাগমারায় বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স করেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় করার জন্য শেখ হাসিনার নামে রাজশাহী শহরে কোটি টাকা মূল্যের জমি দান করেছেন। এছাড়াও দলীয় কর্মসূচীগুলোতেও বড় অনুদান দিয়ে থাকেন। এ সব কারণে এনামুল হকের প্রতি সন্তুষ্ট রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।