পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ
- Sep 16, 2024

আজ সোমবার ১২ রবিউল আউয়াল, বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। ৫৭০ সালের এই দিনে মানবজাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আরবের মক্কা নগরীর সভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। রিসালাতের দায়িত্ব পালন শেষে ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে ঠিক এ তারিখেই ৬৩ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় এ দিনটি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করে থাকে।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া আজ সরকারি ছুটির দিন। ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এক সময় গোটা আরব সমাজ অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তারা মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা। এ সময়কে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকূলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতাআলা রাসুলুল্লাহকে (সা.) প্রেরণ করেন এই পৃথিবীতে।
মহানবী (সা.) অতি অল্প বয়সেই আল্লাহর প্রেমে অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রায়ই তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি নব্যুয়ত প্রাপ্ত হন, আল্লাহতাআলার নৈকট্য লাভ করেন।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিস্তারিত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে উন্নত খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাদ মাগরিব বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব গেটে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে- ওয়াজ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, সেমিনার, ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আরবি খুতবা লিখন প্রতিযোগিতা, ক্বিরাত মাহফিল, হামদ-না’ত, স্বরচিত কবিতা পাঠের মাহফিল, ইসলামী ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী, ইসলামী বইমেলা, বিশেষ স্মরণিকা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ।
এছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সব বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, ৫৪টি ইসলামিক মিশন ও ৮টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। সূত্র: বাসস।