প্রথিতযশা বিচারপতি, সাবেক ছাত্রনেতা ‘বজলুর রহমান ছানার’ মৃত্যুবার্ষিকী
- Jan 01, 2019
মাহবুবুল ইসলাম ইমন :
বাংলাদেশের প্রথিতযশা বিচারপতি (বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, আপিল বিভাগ) ও উত্তরবঙ্গের অন্যতম সাবেক ছাত্রনেতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃতি সন্তান ‘বজলুর রহমান ছানা’। আজ তাঁর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী।
মেধাবী ছাত্র বজলুর রহমান ছানা ১৯৭৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ থেকে Jurisprudence বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৭৭ সালে একই বিষয়ে কৃতিত্বের সাথে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৮২ সালে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকেও তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।
তৎকালীন বৃহত্তর রাজশাহী তথা উত্তরবঙ্গের অন্যতম সাবেক ছাত্রনেতা ‘বজলুর রহমান ছানা’ ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তৎকালীন নবাবগঞ্জ মহকুমা ছাত্রলীগ ও আশির দশকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শীর্ষ পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ১৯৮০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাকসু নির্বাচনে ভি.পি পদে প্রতিদ্বন্দিতা করেন এবং সিনেট সদস্য নির্বাচিত হন।
পঁচাত্তর পরবর্তী সামরিক শাসনামলে ১৯৭৮ ও ১৯৭৯-৮০ সালে বিবর্তনমূলক আটকাদেশে কারাবরণ করেন সেই সময়ের তুখোর ছাত্রনেতা ‘বজলুর রহমান ছানা’। ১৯৮৩ সালের বিশেষ সামরিক শাসনামলে সামরিক আদালতে তিনি যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত হন, যদিও পরবর্তীতে মামলাটি প্রত্যাহার করা হয়।
তিনি ১৯৮৫ সাল থেকে প্রায় ১৫ বছর ঢাকার ধানমন্ডি ল’কলেজে আইনের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ সালে ঢাকার জজ কোর্ট এবং ১৯৮৭ সালে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোটে আইন পেশায় যোগদান করেন। ১৯৯৬ সালে সহকারী এটর্নি জেনারেল এবং ১৯৯৯ সালে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হন। বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্টে তিনি প্রচুর সাংবিধানিক ও গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনা করেছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা থেকে ২০০৩ সালে গুণি এই ব্যক্তিকে ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা শতবর্ষ পূর্তি উৎসব সম্মাননা’ প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সম্মানিত বিচারপতি হিসেবে মৃত্যুঅবধি তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারী তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
প্রথিতযশা বিচারপতি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃতি সন্তান ‘বজলুর রহমান ছানার’ দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের’ পক্ষ থেকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা…