• Thursday, November 21, 2024

বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিজয়ের মাস শুরু

  • Dec 01, 2018

Share With

আজ থেকে শুরু হয়েছে বিজয়ের মাস। ডিসেম্বর মাসব্যাপী নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ত্রিশ লাখ শহীদ আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা উদযান করবে বাংলাদেশ।

বিজয়ের মাসকে বরণ উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বিজয়ের মাসকে স্বাগত জানিয়ে সমাবেশ, মানববন্ধন, বিজয় র‌্যালি, মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে এদিনের কর্মসূচি পালন করা হবে।

মুক্তিযোদ্ধা দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটি সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে মিরপুর কবরস্থানে পুস্পমাল্য অর্পণ করে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। দেশের মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনগুলো প্রতিবছর ১ ডিসেম্বর দিনটিকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসাবে পালন করে থাকে। এবারও তারা দিনটি পালনে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

‘বিজয়ের মাসের প্রথম প্রভাত, শিরোনামে পদক্ষেপ বাংলাদেশ  সকাল ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

বঙ্গবন্ধু পরিষদ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসাবে সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুলের শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্নপূরণ ও সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম ঘটনা হলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙ্গালি জাতির কয়েক হাজার বছরের সামাজিক রাজনৈতিক স্বপ্ন সাধ পূরণ হয় এ মাসে।

বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় গৌরবদীপ্ত চুড়ান্ত বিজয় এ মাসের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয়। স্বাধীন জাতি হিসেবে সমগ্র বিশ্বে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালিরা। অর্জন করে নিজস্ব ভূ-খন্ড আর সবুজের বুকে লাল সূর্য খচিত নিজস্ব জাতীয় পতাকা। ভাষার ভিত্তিতে যে জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছিল, এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ঘোষিত স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় এ দিনে।

শুধু বিজয় নয়, বহু তরতাজা প্রাণ বিসর্জন আর মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই অর্জনের বেদনাবিঁধূর এক শোকগাঁথার মাসও এই ডিসেম্বর।

এ মাসেই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর আল শামসদের সহযোগিতায় দেশের মেধা, শ্রেষ্ঠ সন্তান-বুদ্ধিজীবী হত্যার নৃশংস হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে। সমগ্র জাতিকে মেধাহীন করে দেয়ার এধরনের ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞের দ্বিতীয় কোন নজীর বিশ্বে নেই।

দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজয় র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী কর্মকর্তা কর্মচারী অপারেজেয় বাংলার পাদদেশে জমায়েত হোন। সেখান থেকে উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিজয়র‌্যালি বের হয়। এটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।