• Saturday, December 21, 2024

ব্যারিস্টার মঈনুলকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম

  • Oct 21, 2018

Share With

আলোকিত ডেস্ক: মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তরের টক শো’তে নারী সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলার প্রেক্ষিতেই এই আল্টিমেটাম।

শনিবার (২০ অক্টোবর) বিকালে ঢাকার শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ আল্টিমেটাম দেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন গৌরব’৭১ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মানববন্ধনে গৌরব ’৭১ এর সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন বলেন, টিভির টকশো’তে যেভাবে ব্যারিস্টার মঈনুল একজন নারীকে অশালীনভাবে অপমান করেছেন, তার জন্য তাকে প্রকাশ্যে জনগণের সামনে ক্ষমা চাইতে হবে। আর এ ক্ষমা চাওয়ার জন্য আমরা এক সপ্তাহের সময় বেঁধে দিচ্ছি। অর্থাৎ আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিলাম। এ সময়ের মধ্যে তিনি ক্ষমা না চাইলে আমরা তার বাড়ি ঘেরাও করবো। এমনকি এ দাবিতে সারাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের তরুণরা রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলবে।

মানববন্ধনে আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি কুহেলী কুদ্দুস মুক্তি বলেন, এক নারীকে অবমাননা করে মঈনুল পুরো নারী সমাজের অবমাননা করেছেন। আপনি যতক্ষণ পর্যন্ত প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

মানববন্ধনে বিভিন্ন নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, ছাত্রসমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন শেষে মইনুল হোসেনের কুশপুত্তলিকায় একেকজন লাথি ও থুতু দিয়ে ঘৃণা প্রকাশ করতে থাকেন এবং পরে কুশপুত্তলিকায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মানববন্ধন শেষে শাহবাগ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য হয়ে আবার শাহবাগে এসে শেষ হয়।

উল্লেখ্য, ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন একাত্তর জার্নালে রাজনৈতিক সংবাদের বিশ্লেষণ চলছিল। এ সময় মইনুলের কাছে মাসুদা ভাট্টির প্রশ্ন ছিল, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে যে, সদ্য গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব আপনি করছেন কি না?’ এর জবাবে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি “চরিত্রহীন” বলে আমি মনে করতে চাই।

এ ঘটনায় মঈনুলের বিরুদ্ধে চারিদিকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ওই ঘটনার প্রতিবাদেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।