ভিয়েতনামে ১০ হাজার ইন্টারনেট সেনা, প্রয়োজন বাংলাদেশেও
- Sep 12, 2018

সম্প্রতি ভিয়েতনামের সেনাবাহিনী প্রায় ১০ হাজার সেনা সদস্যের একটি দল গঠন করেছে যারা ইন্টারনেটে নজরদারি করবে। ভিয়েতনামের সেনাবাহিনী পিপলস আর্মি’র একজন মুখপাত্র এ প্রসঙ্গে জানান, এই বাহিনীর নাম হবে ‘সাইবার ট্রুপ’। তাদের কাজ হবে- ইন্টারনেটে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচার-প্রচারণা ছড়ানোকে প্রতিহত করা।
মূলত, ভিয়েতনামে বিপুল সংখ্যক ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী রয়েছে। যাদের অনেকেই ভিয়েতনাম সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা চালিয়ে সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করছে। আর তাই মিথ্যা অপপ্রচার রোধে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ভিয়েতনাম সরকার।
বর্তমান বাংলাদেশে কোটা আন্দোলন এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক মিথ্যা প্রচারণা লক্ষ্য করা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশেও এমন সেনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন আইটি বিশেষজ্ঞরা।
আইটি বিশেষজ্ঞারা জানান, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে না, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছে। সেক্ষেত্রে একটি দেশের ভালো খারাপ অনেকাংশ নির্ভর করছে ফেসবুক ও ইউটিউবের ওপর। এমতাবস্থায় প্রতিটি দেশের সরকারের উচিত হবে ফেসবুক সেনা তৈরি করে মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডার বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও জরুরি।
ভিয়েতনামি সামরিক বাহিনীর পলিটিক্যার ডিপার্টমেন্টের উপ-প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল নুগয়েন ট্রং এনঘিয়া সম্প্রতি ক্রিসমাস দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় ফোর্স-৪৭ নামে এই সাইবার বাহিনীর কথা ঘোষণা করেছেন বলে জানা গেছে। তিনি বলেছেন, ভিয়েতনামের নয় কোটি জনসংখ্যার ৬২.৭ শতাংশেরই ইন্টারনেটে অ্যাকসেস রয়েছে, তবে একই সঙ্গে এও বলেছেন যে, ইন্টারনেটের এই উচ্চ-প্রবৃদ্ধি দেশের জন্য ভাল ও মন্দ দুটোই নিয়ে আসতে পারে। তাই দেশের প্রয়োজনেই আমরা এ ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।