• Monday, December 30, 2024

মেধাবী-সাহসী পুলিশ সুপার ‘সৈয়দ নুরুল ইসলামের’ জন্মদিন আজ

  • Mar 01, 2019

Share With

মাহবুবুল ইসলাম ইমন : 

স্মার্ট, মেধাবী-সাহসী পুলিশ অফিসার, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃতি সন্তান, সমাজসেবী  ‘সৈয়দ নুরুল ইসলাম’। ১৯৭১ সালের এই দিনে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শিবগঞ্জ পৌরসভার জালমাছমারি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ পুলিশের অহংকার, চৌকস পুলিশ অফিসার ‘সৈয়দ নুরুল ইসলাম পিপিএম, বিপিএম (বার)’ বর্তমানে কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালন করছেন।

‘ঢাকাস্থ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্র সমিতির প্রতিষ্ঠাতা-সমাজসেবী ‘সৈয়দ নুরুল ইসলাম’ ঢাকায় বসবাসরত চাঁপাইনবাবগঞ্জের অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীদের কল্যাণে ১৯৯৭ সালে ‘ঢাকাস্থ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্র সমিতি’ নামের একটি সংগঠন গড়ার উদ্যোগ নেন। ‘ঢাকাস্থ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্র সমিতির প্রতিষ্ঠাতা-আহবায়কের দায়িত্বও পালন করেন। এই সংগঠনের ব্যানারে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানসহ বিভিন্ন প্রকার সহযোগিতা করে  আসছেন অদ্যাবধি।

ধর্মীয়-জনকল্যাণমূলক কাজের অংশ হিসেবে ‘সৈয়দ নুরুল ইসলাম’ তাঁর নিজ এলাকা শিবগঞ্জের জালমাছমারিতে একটি আধুনিক, সুদর্শন ‘ঈদগাহ’ প্রতিষ্ঠা করেন।এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সাথে তিনি জড়িত রয়েছেন। গত বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশ পুলিশের চারজন কর্মকর্তার (চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃতি সন্তান) এসপি হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন ‘সৈয়দ নুরুল ইসলাম’। বিভিন্নভাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মানুষের কল্যাণে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন তিনি।

ক্রীড়া ও সংস্কৃতি অনুরাগী সৈয়দ নুরুল ইসলাম ব্যক্তিজীবনে এক পুত্র ও  কন্যা সন্তানের জনক। তাঁর পিতা সৈয়দ কসিমুদ্দীন মিঞা এবং মাতা সৈয়দা গুলনাহার বেগম। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি পিতা-মাতার চতুর্থ সন্তান।

১৯৮৬ সালে লালমনিরহাট চিলড্রেন পার্ক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান শাখায় প্রথম বিভাগে এস.এস.সি, ১৯৮৮ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে এইচ.এস.সি এবং ১৯৯১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে বি.এস.সি ও ১৯৯৩ সালে এম.এস.সি পাস করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে এম.এ.এস ডিগ্রী অর্জন করেন।

ছাত্র জীবনে তিনি প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির হওয়ার পর থেকেই মূলত তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৯০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এর ‘স্যার.এ.এফ রহমান হলের’ ক্রীড়া সম্পাদক, ১৯৯৪ সালে ‘স্যার.এ.এফ রহমান’ হল শাখার সভাপতি এবং ১৯৯৮ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তথা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জাতীয় কার্যকরী সংসদের সহ-পাঠাগার সম্পাদক নির্বাচিত হন সেই সময়ের তুখোর ছাত্রনেতা ‘সৈয়দ নুরুল ইসলাম’। সংগঠক এবং সুবক্তা হিসেবেও তাঁর খ্যাতি রয়েছে।

সৈয়দ নুরুল ইসলাম ২০তম বি.সি.এস এর মাধ্যমে ২০০১ সালে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার, জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশন, রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ও উপ-পুলিশ কমিশনার, নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার, উপ-পুলিশ কমিশনার ওয়ারী জোন, ডিএমপি (ঢাকা), বিশেষ পুলিশ সুপার (এস.বি) ঢাকা এবং পুলিশ সুপার ময়মনসিংহে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন শেষে বর্তমানে তিনি কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালন করছেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার থাকাবস্থায় তিনি সাহসিকতার সাথে যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামী, কামরুজ্জামান, এটিএম আজহারুল ইসলাম, কাদের মোল্লাকে গ্রেফতার করেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে আপোষহীন সৈয়দ নুরুল ইসলাম মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। জনবান্ধব সেবামুখী পুলিশিং নিশ্চিতকরণে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমকে জোরদার করার পাশাপাশি ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় আর্ত মানবতার সেবায় তিনি উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

সৈয়দ নুরুল ইসলাম সাহসিকতার জন্য ২০১১ সালে পি.পি.এম পদক, ২০১৩ ও ২০১৮ সালে বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বি.পি.এম অর্জন করেন। বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ এ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচিত জেনারেল সেক্রেটারীর দায়িত্বও পালন করেন তিনি। বর্তমানে ২০তম বিসিএস ফোরামের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

স্মার্ট, মেধাবী-সাহসী পুলিশ অফিসার, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃতি সন্তান  ‘সৈয়দ নুরুল ইসলামের’ জন্মদিনে ‘আলোকিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের’ পক্ষ থেকে জানাই ফুলেল শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা নিরন্তর…