• Monday, December 30, 2024

রাজশাহী বিভাগের ৪৬ পরিবার পেল জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সহায়তা

  • Dec 20, 2024

Share With

জুলাই বিপ্লবে নিহত রাজশাহী বিভাগের ৪৬ পরিবারের মাঝে জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন কর্তৃক অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এ চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

সারজিস আলম তার বক্তব্যে বলেন, চব্বিশের জুলাই বিপ্লবে যারা শহিদ হয়েছেন তাদের হত্যা মামলার বিচারের জন্য নিহত শহিদদের মরদেহ কোনোভাবেই উত্তোলন করা যাবে না। হত্যা মামলাগুলোর বিচার সংশ্লিষ্ট সকলকে একটি কথা বলে দিতে চাই, যে ভাইয়ের জীবনের রক্তের ওপরে ওই চেয়ারে আপনারা বসে রয়েছেন, আপনারা চার মাস পর বিচারের নামে তাদের লাশ উত্তোলন করতে পারেন না। এসময় জুলাই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি করেন তিনি।

আড়াই লক্ষ পুলিশ সদস্যের বিশাল পরিবারের ওপর আস্থা রাখতে চাই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ২৪ এর আন্দোলনে পুরো পুলিশবাহিনীর ভাবমূর্তিতে যে নেতিবাচক ছায়া পড়েছে শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারকার্যে সহযোগিতার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদেরকে পুনরায় জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।

উপস্থিত শহিদ পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যতদিন এ বাংলাদেশ আছে, যতদিন আপনারা আছেন এই ফাউন্ডেশন তার জায়গা থেকে সর্বোচ্চটুকু দিয়ে আপনাদের পাশে থাকবে। আজকের এই পদক্ষেপ শুধু শুরু। যেকোনো কিছুর বিনিময়ে জুলাই বিপ্লবে শহিদ পরিবারদের পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, আমরা বীর শহিদদের তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে কিছুই হয়তো দিতে পারবো না। কিন্তু তাদের রেখে যাওয়া পরিবারের পাশে থাকব। শহিদ পরিবারের মাঝে সুষ্ঠুভাবে অনুদান বা বৃত্তি বিতরণ এবং শহিদ পরিবারের শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যত গড়ে তোলা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার ছাত্র-জনতা আন্দোলন করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার যে চেতনা উপহার দিয়েছেন তা ধারণ করে অর্পিত দায়িত্ব পালনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কবৃন্দ, , রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আলমগীর রহমান, পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।