‘সঙ্কটাপন্ন’ অবস্থায় মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশুকে নেওয়া হচ্ছে সিএমএইচে
- Mar 08, 2025

সঙ্কটাপন্ন’ অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচে নেওয়া হয়েছে মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ‘ধর্ষণের শিকার’ শিশুটিকে।
শনিবার ঢাকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে সেখানে নেওয়া হয়।
মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ‘ধর্ষণের শিকার’ শিশুটির অবস্থা ‘সঙ্কটাপন্ন’ বলছে চিকিৎসকরা। সিএমএইচে নেওয়ার আগে তার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক আশরাফুল আলম বলেন, দুপুরে ‘ধর্ষণের শিকার’ শিশুটিকে হাসপাতালে দেখতে আসেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুর্শিদ। উপদেষ্টার নির্দেশ ও শিশুটির চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে শিশুটিকে সিএমএইচে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। “ধর্ষণের পাশাপাশি তার গলা চেপে ধরা হয়েছিল। আমরা দেখেছি তার গলায় একটা দাগ আছে। এ কারণে চিকিৎসকরা বলছেন, গলা চেপে ধরার কারণে তার শ্বাসকষ্ট হয়েছে। এ কারণে তার সমস্যাগুলো আরও বেশি হচ্ছে। শিশুটির চিকিৎসায় শনিবার মেডিকেল বোর্ড করা গঠনের কথা জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আট বছরের শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বৃহস্পতিবার চিকিৎসার জন্য আনা হয় ঢাকায়।
এদিকে, শিশু ‘ধর্ষণের’ ঘটনার তিন দিন পর চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় শনিবার ওই শিশুর মা বাদী হয়ে সদর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন। তিনি বলেন, “এ মামলার শিশুটির ভগ্নিপতি সজিব হোসেন (১৮) ও বোনের শ্বশুর হিটু মিয়া (৪২), সজিব শেখের ভাই রাতুল শেখ (১৭) এবং তাদের মা জাবেদা বেগমকে (৪০) আসামি করা হয়েছে। তাদের চারজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।