• Saturday, May 10, 2025

সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে কৌশলগত নেতৃত্বের প্রয়োজন : সেনাপ্রধান

  • May 09, 2025

Share With

সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে কৌশলগত নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) মিরপুর সেনানিবাসের এক সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে গত ২০ এপ্রিল থেকে ৮ মে ২০২৫ পর্যন্ত তিন সপ্তাহব্যাপী স্ট্র্যাটেজিক লিডারশিপ প্রশিক্ষণ ‘ক্যাপস্টোন কোর্স ২০২৫/১’ সমাপ্ত হয়েছে। সেনাবাহিনী প্রধান প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ফেলোদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, এই কোর্সে জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সিনিয়র চিকিৎসক, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সিনিয়র প্রতিনিধি, কূটনীতিক, সাংবাদিক এবং কর্পোরেট প্রতিনিধিসহ ৩২ জন ফেলো অংশগ্রহণ করেন।

ক্যাপস্টোন কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য অংশগ্রহণকারীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান প্রধান অতিথি জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি তার ভাষণে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে কৌশলগত নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা ও সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, দ্রুত পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ভবিষ্যতের জন্য একটি স্বনির্ভর ও দক্ষ জাতি গঠনে এবং সুসংহত নেতৃত্বের বিকাশে এই কোর্স উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। ক্যাপস্টোন ফেলোরা সম্ভাবনাময় নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রে সৃজনশীল চিন্তাধারা, সংস্কারমূলক ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে জনস্বার্থে আত্মনিয়োগ করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এনডিসি কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক কোর্সের গুরুত্ব তুলে ধরে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, এই প্ল্যাটফর্মটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংলাপ ও একীভূত চিন্তাধারা বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে।

তিনি উল্লেখ করেন, ক্যাপস্টোন কোর্সে অংশগ্রহণকারী ফেলোদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ বাংলাদেশের কৌশলগত নেতৃত্বের মধ্যে শক্তিশালী সেতুবন্ধন তৈরি করেছে এবং দূরদর্শী নেতৃত্ব বিকাশের জন্য কলেজের লক্ষ্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

এছাড়া ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের অন্যতম প্রধান প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ‘ক্যাপস্টোন কোর্স’ কৌশলগত সচেতনতা বৃদ্ধি, মননশীল চিন্তাভাবনার বিকাশ, পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে সাহায্য করছে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা, কলেজের অনুষদ সদস্যরা, স্টাফ অফিসাররা এবং অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র: আইএসপিআর