স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা
- Aug 15, 2018
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হচ্ছে। বুধবার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবনত মস্তকে স্মরণ করছে গোটা জাতি। জাতির পিতাসহ ১৫ আগস্টের সব শহীদকে হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা জানাচ্ছে শোকার্ত মানুষ।
বুধবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিদেশের বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে শুরু হয় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি। সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের অন্য শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে করে টুঙ্গিপাড়া গিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন। পবিত্র কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভাসহ অন্যান্য কর্মসূচিও পালিত হচ্ছে সেখানে। স্বাধীনতার মহানায়কের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই তিন জায়গায় শোকার্ত লাখো মানুষের ঢল। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণ এখন জনারণ্য।
আজ সরকারি ছুটি। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সরকারি-বেসরকারি রেডিও ও টিভি চ্যানেলগুলো দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। দেশের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং মন্দির, প্যাগোডা ও গির্জায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দেশজুড়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ, রচনা, চিত্রাঙ্কন, হামদ্ ও নাত প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, স্বেচ্ছায় রক্তদান এবং মিলাদ, দোয়া মাহফিলসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। দেশের বাইরে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলো বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে।
রাজধানীসহ সারাদেশে শোকের প্রতীক কালো পতাকার পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও তোরণ নির্মাণ করা হয়। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর সাধারণ অনুসারীরা কালো ব্যাজ ধারণ করেন। অলিগলিতে মাইকে বাজছে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের কালজয়ী ভাষণ। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত গান ও কবিতা এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণামূলক গানও প্রচারিত হচ্ছ মাইকে।
জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে ধানমণ্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে শোকার্ত মানুষের ঢল নামে। ভোর থেকেই আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এবং সর্বস্তরের মানুষ বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনের রাস্তায় সমবেত হতে থাকে।
# চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কর্মসূচি : আজ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। সকাল সাড়ে ৮টায় হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের দক্ষিণ-পূর্ব কোনে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল ৯টায় আব্দুল মান্নান সেন্টু মার্কেটের সামনে থেকে বের হবে শোক র্যালি। সকাল সাড়ে ৯টায় নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠ শহীদ মিনার চত্ত্বরে আলোচনাসভা ও পুরস্কার বিতরণ করা হবে। সকাল সাড়ে ১০টায় সরকারি শিশু পরিবারে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। বেলা সাড়ে ১১টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে পবিত্র কোরআন তেরাওয়াত, হামদ্-নাত, আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল। একই সময়ে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মহিলাদের আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল, বাদ জোহর কোর্ট জামে মসজিদে কোরআন খানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, সুবিধামতো সময়ে সকল মসজিদে মিলাদ ও দোয়া এবং সকল মন্দির, গীজা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা ছাড়াও সুবিধামতো সময়ে শিশু একাডেমি ও জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্ব-স্ব উদ্যোগে আলোচনাসভা, কবিতা পাঠ, রচনা, চিত্র প্রদর্শনী, হামদ-নাত প্রতিযোগিতা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।