রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন সার্ভিস চালুতে ইতিবাচক ভারত
- Jan 11, 2020
ঢাকা-কলকাতা ও খুলনা-কলকাতার পর এবার আলোচনায় এসেছিল রাজশাহী-কলকাতা যাত্রীবাহী ট্রেন সার্ভিস। এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়াও দিয়েছে ভারত। আগামী মাসে এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে আশা করা হচ্ছে। এরআগে গত ৩০ অক্টোবর রেলভবনে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাসের সঙ্গে এ বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও করেছেন।
ওই বৈঠকে জানানো হয়, বর্তমানে দুইটি ট্রেন দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত রেলপথ যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে ভারতের কলকাতা রুটে চলাচল করছে মৈত্রী এক্সপ্রেস, আর খুলনা-কলকাতা রুটে চলছে বন্ধন এক্সপ্রেস।
এখন রাজশাহী-কলকাতা রুটে আরও একটি ট্রেন সার্ভিস চালু হলে- এটি উত্তরবঙ্গের সঙ্গে চিকিৎসা, ভ্রমণ ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে। দেশের শস্যভাণ্ডার খ্যাত উত্তরবঙ্গের অনেক ফসল রাজশাহী হয়ে রেলপথে ভারতের বাজারে ঢুকতে পারবে। আমদানি-রফতানির জন্য উন্মোচিত হবে নতুন ক্ষেত্র।
ওই বৈঠকে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে রাজশাহী থেকে মালদহ হয়ে কলকাতা পর্যন্ত একটি আন্তঃদেশীয় ট্রেন চালু করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়। উভয়পক্ষের আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয় যে, বাংলাদেশ এবং ভারতের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এছাড়া যমুনা নদীর পশ্চিমপাড়ে ভারতের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত একটি আইসিডি (ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো) নির্মাণের বিষয়েও আলোচনা হয়।
এর আওতায় সিরাজগঞ্জ বাজারে ছোট্ট পরিসরে আইসিডি নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। ভারত থেকে ২০টি লোকোমোটিভ সরবরাহ বিষয়ে বলা হয়, কারিগরি দল পরিদর্শন করে বিভিন্ন শর্তাবলী ঠিক করে ইঞ্জিনগুলো দ্রুত আনার বিষয়ে উদ্যোগ নেবে।
এ বিষয়ে রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, রাজশাহীর মানুষের ভারত যাতায়াতের পথ সুগম করা এবং রাজশাহীর সঙ্গে ভারতে যোগাযোগের নতুন মেলবন্ধন তৈরিতে তিনি এই প্রস্তাবনাটি করেছিলেন। এর মধ্যে দিয়ে এখানকার অর্থনীতির চাকায় গতি আসবে। তার প্রস্তাবনার ব্যাপারে ভারত সাড়া দিয়েছে। এরই মধ্যে ভারতের রেলপথ বিভাগ প্রস্তাবনাটি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে। আগামী মাসে তিনিও আবার বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গে কথা বলবেন। তখন এর উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে বলেও আশা করেন বাদশা।
এদিকে রাজশাহী-কলকাতা চালুর ‘রুট সিলেকশন’ নিয়ে ডিসেম্বরেই রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহা-ব্যবস্থাপক (জিএম) মিহির কান্তি গুহ।
তিনি বলেন, কোথাও ট্রেন চালুর উদ্যোগ নিলে তার প্রথম ধাপই হচ্ছে ‘রুট সিলেকশন’। এরপর কাস্টমস, ইমিগ্রেশন, র্যাক নির্ধারণ ও সময়সূচিসহ অন্যান্য বিষয়গুলো পর্যায়ক্রমে চূড়ান্ত করা হয়। তবে, মালদাহ হয়ে ট্রেন চলাচল করলে অন্তত সাড়ে সাত ঘণ্টা সময় বেশি লাগবে বলেও তিনি রেলমন্ত্রীকে জানান।