প্রবাসীর ভোটাধিকার নিশ্চিতে তিন পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছে ইসি
- Apr 10, 2025

প্রবাসীদের জাতীয় নির্বাচনে ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে তিনটি সম্ভাব্য পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব পদ্ধতির কার্যকারিতা মূল্যায়ন ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে শিগগিরই বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি অ্যাডভাইজরি টিম গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
মো. সানাউল্লাহ বলেন, আমরা ১৭৮টি দেশে স্টাডি করে দেখেছি ১১৫টি দেশ তাদের প্রবাসী নাগরিকদের জন্য ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা রেখেছে। সবচেয়ে অনুসৃত পদ্ধতি হচ্ছে দূতাবাসে, এরপর হচ্ছে পোস্টাল ব্যালট, এরপর হচ্ছে অনলাইন বা প্রক্সি ভোটিং।
বাংলাদেশের প্রবাসীদের যে বিস্তৃতি তাতে দূতাবাসে সেটা সীমিত উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, এজন্য তিনটিকে শর্ট লিস্ট করেছি। পোস্টাল ব্যালট, অনলাইন ও প্রক্সি ভোটিং। তিনটিরই কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, কিছু সুবিধাও আছে। কমিশনের কাছে বিষয়টি উত্থাপনের পর নির্বাচন, আইন, কারিগরি ও নির্বাচনি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গত মঙ্গলবার কর্মশালা করি। যেখানে ১০টি টিম তাদের উপস্থাপনা উপস্থাপন করেছে। এর মধ্যে তিনটা পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধা দেখেছি।
আমরা যে পদ্ধতিই অনুসরণ করিনা কেন, তা বাংলাদেশের প্রবাসীদের বিস্তৃতিসহ অন্যান্য বিষয় বিবেচনা সাপেক্ষে করতে হবে।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, যে পদ্ধতিতেই করিনা কেন, প্রবাসীকে প্রথমে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। বাংলাদেশের জন্য কোনো একটা পদ্ধতি নয় বরং মিশ্র পদ্ধতি করতে হবে। কেননা একেক এদেশের পরিস্থিতি একেক রকম। সকল পদ্ধতির সফলতা ও দুর্বলতা আছে। সকল পদ্ধতির জন্য মক টেস্টিং প্রয়োজন হবে। সম্ভবত সকল পদ্ধতির জন্যই পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত পরিসরে করতে হবে। এটা অনেক দেশ করছে। তিনি বলেন, আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম হচ্ছে, একটা অ্যাডভাইজরি টিমস গঠন করব, গতকাল যারা বিশেষজ্ঞ ছিলেন, তাদের নিয়ে। তিনটি পদ্ধতির সফলতা, দুর্বলতা পর্যালোচনা করে কি করে দুর্বলতা কাটানো যায়, সে ব্যবস্থা তারা করবেন। এরপর আমরা অংশীজনদের সঙ্গে বসব। আমরা যাই করি না কেন যে সময়টা আমরা পাব তার মধ্যেই কাস্টমাইজ করতে হবে। তাই সময় না পেলে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। এজন্য আমরা একটা দিনও সময় নষ্ট করছি না। ইনশাআল্লাহ এবার প্রবাসীদের ভোটের আওতায় আনতে পারব। তবে কোন পদ্ধতিতে হবে সেটা কারিগরি টিম কাজ করার পর চূড়ান্ত হবে।