৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে জিম্বাবুয়ে
- Oct 21, 2018
সংক্ষিপ্ত স্কোর: জিম্বাবুয়ে ৩২ ওভারে ১২৯/৫ (বাংলাদেশ ২৭১/৮)
ফিরেই মিরাজের উইকেট
দ্বিতীয় স্পেলে ফিরেই উইকেট পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বোল্ড করে বিদায় করেছেন ক্রেইগ আরভিনকে।
বেরিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। বলে-ব্যাটে করতে পারেননি। বল একটু স্পিন করে ব্যাট ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে। ৪৮ বলে এক চারে ২৪ রান করে ফিরে যান আরভিন।
২৬ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১০১/৫। ক্রিজে শন উইলিয়ামসের সঙ্গী পিটার মুর।
মন্থর ব্যাটিংয়ে জিম্বাবুয়ের একশ
২৭২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় মন্থর ব্যাটিংয়ে ২৫ ওভারে একশ ছুঁয়েছে জিম্বাবুয়ে। সিফাস জুওয়াওয়ের ব্যাটে শুরুতে দ্রুত রান তোলা দলটি ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। রানের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে অতিথি ব্যাটসম্যানদের।
২৫ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১০০/৪। ক্রেইগ আরভিন ২৪ ও শন উইলিয়ামস ৫ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ২৫ ওভরে আরও ১৭২ রান চাই তাদের।
নাজমুলের বলে বোল্ড রাজা
স্বপ্নের এক ডেলিভারিতে সিকান্দার রাজাকে বোল্ড করে দিলেন নাজমুল ইসলাম অপু। বাঁহাতি স্পিনে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা ফুটে উঠলো আবারও।
ফুল লেংথ বল পিছিয়ে গিয়ে সামলাতে চেয়েছিলেন রাজা। কিন্তু বলে-ব্যাটে করতে পারেননি। লেগ-মিডল স্টাম্পে পড়ে বল স্পিন করে তার ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে।
২২ বলে ৭ রান করে ফিরে যান রাজা। ২২ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৯২/৪। ক্রিজে ক্রেইগ আরভিনের সঙ্গী স্পিনের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান শন উইলিয়ামস।
আরভিনকে জীবন দিলেন মুশফিক
আঁটসাঁট বোলিংয়ে করে যাওয়া মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন একটুর জন্য পেলেন না উইকেট। তার বলে ক্রেইগ আরভিনের ক্যাচ ছেড়েছেন মুশফিকুর রহিম।
শরীর থেকে বেশ দূরের বল তাড়া করতে গিয়ে ঠিক মতো খেলতে পারেননি আরভিন। হাত বাড়িয়ে ক্যাচ নাগালেই পান মুশফিক কিন্তু গ্লাভসে জমাতে পারেননি। সে সময় ১০ রানে ব্যাট করছিলেন জিম্বাবুয়ের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
২০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৮২/৩। আরভিন ১২ ও সিকান্দার রাজা ৬ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য আরও ১৯০ রান চাই তাদের।
রান আউটে শেষ মাসাকাদজা
খুব স্বচ্ছন্দে খেলতে না পারলেও এক প্রান্ত আঁকড়ে ছিলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। জিম্বাবুয়ে অধিনায়কের ইনিংস শেষ হলো রান আউটে।
ওয়াইড লং অফে খেলে দুটি রান নিতে চেয়েছিলেন মাসাকাদজা, তবে ওই শটে দুই রান ছিল খুব কঠিন। মাসাকাদজার দৌড়েও দেখাতে পারেননি দারুণ কোনো ঝলক। ইমরুল কায়েস ফিল্ডিং করে বল থ্রোতে করেন ত্বরিত। খুব একটা নিখুঁত থ্রো অবশ্য ছিল না, তবে বল ধরে দারুণ ক্ষীপ্রতায় স্টাম্প ভাঙেন মুশফিক।
৩৪ বলে ২১ রানে ফিরলেন মাসাকাদজা। আরও বাড়ল জিম্বাবুয়ের বিপদ। ১২.২ ওভারে রান ৩ উইকেটে ৬২।
টেইলরকে দ্রুত ফেরালেন নাজমুল
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি রানের কীর্তির অধিকারী ব্রেন্ডন টেইলরকে টিকতে দিলেন নাজমুল ইসলাম অপু। দারুণ এক ডেলিভারিতে কিপার-ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করে দিলেন তিনি।
পা বাড়িয়ে বাঁহাতি স্পিন খেলতে চেয়েছিলেন টেইলর। তার ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে স্পিন করে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। ১৩ বলে ৫ রান করে ফিরে যান টেইলর।
১১ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৫৯/২। ক্রিজে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার সঙ্গী ক্রেইগ আরভিন।
চড়াও হওয়া জুওয়াওকে থামালেন মুস্তাফিজ
মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মেহেদী হাসান মিরাজের ওপর চড়াও হয়ে জিম্বাবুয়েকে দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছিলেন সিফাস জুওয়াও। বোলিংয়ে এসেই এই ওপেনারকে ফিরিয়ে জুটি ভেঙেছেন মুস্তাফিজুর রহমান।
অষ্টম ওভারে আক্রমণে আসেন বাঁহাতি এই পেসার। প্রথম বলটি ছিল ওয়াইড। পরের বলটি অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে পড়ে জুওয়াওয়ের ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে উড়িয়ে দেয় অফ স্টাম্প।
২৪ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৫ রান করে ফিরেন জুওয়াও। ভাঙে ৪৮ রানের জুটি।
৮ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৪৯/১। ক্রিজে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার সঙ্গী ব্রেন্ডন টেইলর। জয়ের জন্য আরও ২২৩ রান চাই অতিথিদের।
ইমরুলের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ ২৭১
ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে লড়াই করার পুঁজি এনে দিয়েছেন ইমরুল কায়েস। প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের জন্য জিম্বাবুয়েকে ২৭২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
ইমরুলের সেঞ্চুরি আর সপ্তম উইকেটে মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের সঙ্গে তার রেকর্ড গড়া জুটির ওপর ভর করে ৮ উইকেটে ২৭১ রান করে বাংলাদেশ। এই দুই জনের বাইরে রান পেয়েছেন কেবল মোহাম্মদ মিঠুন।
৬ ছক্কা আর ১৩ চারে ১৪০ বলে ১৪৪ রান করেন ইমরুল। সাইফ ফিরেন ৫০ রান করে।
৩৭ রানে ৪ উইকেট নেন জিম্বাবুয়ের পেসার কাইল জার্ভিস। নতুন বলে তার সঙ্গী তেন্দাই চাতারা ৩ উইকেট নেন ৫৫ রানে। অতিথিদের তিন স্পিনার মিলে ২১ ওভার বোলিং করে নিতে পেরেছেন কেবল ১ উইকেট।
পাঁচটি ক্যাচ নিয়ে উইকেটের পেছনে উজ্জ্বল ব্রেন্ডন টেইলর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৭১/৮ (লিটন ৪, ইমরুল ১৪৪, মাহমুদ ০, মুশফিক ১৫, মিঠুন ৩৭, মাহমুদউল্লাহ ০, মিরাজ ১, সাইফ ৫০, মাশরাফি ২*, মুস্তাফিজ ১*; জার্ভিস ৪/৩৭, চাতারা ৩/৫৫, টিরিপানো ০/৬০, মাভুটা ১/৪৮, রাজা ০/৩৭, উইলিয়ামস ০/৩২)
প্রথম পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফিরলেন সাইফ
গত জানুয়ারির পর প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির দেখা পেলেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
৬৮ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ফিফটি ছুঁয়ে পরের বলে ফিরে যান এই তরুণ অলরাউন্ডার। তেন্দাই চাতারার ফুল টস বলে লং অফে ধরা পড়েন ব্রেন্ডন মাভুটার হাতে।
৪৯.১ ওভারে সাইফ ফিরে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ২৬৭/৮। ক্রিজে মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গী মুস্তাফিজুর রহমান।
লড়াইয়ের পুঁজি গড়ে দিয়ে ফিরলেন ইমরুল
বাউন্ডারিতে শেষের দিকে বানের স্রোতের মতো আসছিল রান। নিজের ব্যক্তিগত সেরা ১১২ ছাড়িয়ে ইমরুল কায়েস প্রায় পৌঁছে গিয়েছিলেন ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তামিম ইকবালের ১৫৪ রানের কাছে।
সেই রেকর্ড ভাঙা হয়নি ইমরুলের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪৪ রান করা মুশফিকুর রহিমকে স্পর্শ করে ফিরেছেন এই ওপেনার। তাকে ফিরিয়ে নিজের চতুর্থ উইকেট নিয়েছেন কাইল জার্ভিস।
১৪০ বলে ১৩ চার ও ছয় ছক্কায় ১৪৪ রান করে ফিরেন ইমরুল।
৪৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৬৭/৭। ক্রিজে মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের সঙ্গী অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
ইমরুল-সাইফের ব্যাটে রেকর্ড জুটি
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়ে যাওয়া যাওয়া বাংলাদেশকে পথ দেখিয়েছেন ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। দারুণ ব্যাটিংয়ে সপ্তম উইকেটে দুই জন দেশকে উপহার দিয়েছেন রেকর্ড জুটি।
সপ্তম জুটিতে আগের রেকর্ড ছিল মুশফিকুর রহিম ও নাঈম ইসলামের ১০১। ২০১০ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ডানেডিনে ওই জুটি গড়েছিলেন তারা।
৬৮ বলে ইমরুল-সাইফ জুটির রান পঞ্চাশ স্পর্শ করে। জুটির রান দুই জনে তিন অঙ্কে নিয়ে যান ১০১ বলে। পরের পঞ্চাশ আসে মাত্র ৩৩ বলে।
৪৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৫১/৬। ইমরুল ১৩২ ও সাইফ ৪৬ রানে ব্যাট করছেন। তাদের জুটির রান তখন ১১২।
দাপুটে ব্যাটিংয়ে ইমরুলের সেঞ্চুরি
দলের বিপদে হাল ধরলেন ইমরুল কায়েস। দাপুটে ব্যাটিংয়ে তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। ওয়ানডেতে তার ক্যারিয়ারের এটি তৃতীয়।
তেন্দাই চাতারার বলে সিঙ্গেল নিয়ে ১১৮ বলে তিন অঙ্কে যান ইমরুল। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে ৮টি চার ও তিনটি ছক্কা।
শুরুতে সীমানায় জীবন পাওয়া ইমরুল দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন সুযোগ। ইনিংসের শুরুর দিকে বড় শটে চেপে বসা ফাঁস আলগা করার চেষ্টা ছিল তার। তবে সময় যত গড়িয়েছে তত ঠাণ্ডা মাথায় খেলেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
অন্য প্রান্তে উইকেট যত পড়েছে তত যেন দায়িত্বশীল হয়ে উঠেছেন ইমরুল। বাজে বলে তুলে নিয়েছেন বাউন্ডারি। এক-দুই নিয়ে সচল রেখেছেন রানের চাকা। জিম্বাবুয়ের স্পিন-পেস কিছুই খুব একটা ভাবাতে পারেনি তাকে।
সেঞ্চুরি ছুঁয়ে যে উদযাপন করলেন ইমরুল তাতে বুঝে নিতে কষ্ট হল না, নবজাত সন্তানকে উৎসর্গ করেছেন এই সেঞ্চুরি।
৪৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২১০/৬। ইমরুল ১০৫ ও সাইফ ৩২ রানে ব্যাট করছেন।
পঞ্চাশ রানের জুটিতে ইমরুল-সাইফের প্রতিরোধ
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশ প্রতিরোধ গড়েছে ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের ব্যাটে। অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেটে দুই জনে ৬৮ বলে গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি।
জুটিতে অগ্রণী ছিলেন ইমরুল। গত জানুয়ারির পর প্রথমবারের মতো ওয়ানডে খেলতে নামা সাইফ ভুগেছেন শুরুতে। থিতু হওয়ার পর নিজের শট খেলতে শুরু করেছেন তরুণ এই অলরাউন্ডারও।
৪২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৯৬/৬। ইমরুল ৯৯ ও সাইফ ২৬ রানে ব্যাট করছেন।
মিরাজের দ্রুত বিদায়ে বাড়ল চাপ
আগের ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নেওয়া কাইল জার্ভিস ফিরিয়ে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজকে। বাংলাদেশের ওপর চাপ বাড়ল আরও।
অফ স্টাম্পের বাইরের বল কাট করতে গিয়ে ঠিক মতো শট খেলতে পারেননি মিরাজ। সহজ ক্যাচ গ্লাভসে জমান ব্রেন্ডন টেইলর। জিম্বাবুয়ে কিপারের এটা পঞ্চম ক্যাচ।
৪ বলে ১ রান করে ফিরেন মিরাজ। ৩০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৩৯/৬। ক্রিজে ইমরুল কায়েসের সঙ্গী দলে ফেরা মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
টিকতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহ
আবার ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গেল বাংলাদেশ। কাইল জার্ভিসের বলে মোহাম্মদ মিঠুনের পর কট বিহাইন্ড হয়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ।
রানের খাতা খুলতে পারেননি মিডল অর্ডারের এই বড় ভরসা। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া বল তার ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে ব্রেন্ডন টেইলরের গ্লাভসে। মৃদু স্পর্শ টের পাননি মাহমুদউল্লাহ। সাথে সাথেই নেন রিভিউ। তবে পাল্টায়নি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে হারানোর সঙ্গে একমাত্র রিভিউটিও হারায় বাংলাদেশ।
২৮ ওভার শেষে স্বাগতিকদের স্কোর ১৩৭/৫। ক্রিজে ইমরুল কায়েসের সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ।
খোঁচা মেরে ফিরলেন মিঠুন
বিপজ্জনক হয়ে উঠা জুটি ভাঙলেন কাইল জার্ভিস। ফিরিয়ে দিলেন দ্রুত রান তোলা মোহাম্মদ মিঠুনকে।
স্পিনারদের ওপর চড়াও হয়ে দ্রুত রান তুলছিলেন ইমরুল কায়েস ও মিঠুন। মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠা জুটি ভাঙতে অধিনায়ক ফেরান জার্ভিসকে। নতুন স্পেলের দ্বিতীয় বলে মিঠুনকে কট বিহাইন্ড করে এই পেসার ভাঙেন ৭১ রানের জুটি।
অফ স্টাম্পের একটু বাড়তি লাফানো বল চমকে দেয় মিঠুনকে। ছাড়বেন না খেলবেন এ নিয়ে দ্বিধায় মেরে বসেন খোঁচা। আরেকটি ক্যাচ গ্লাভসে জমান ব্রেন্ডন টেইলর। ৪০ বলে তিন ছক্কা আর এক চারে ৩৭ রান করে ফিরে যান মিঠুন।
২৭.২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৩৭/৪। ক্রিজে ইমরুলের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ।
ইমরুল-মিঠুনের ব্যাটে পঞ্চাশ রানের জুটি
চতুর্থ উইকেটে এসে প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি পেল বাংলাদেশ। দ্রুত ৩ উইকেট হারানো স্বাগতিকদের টানছেন ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ মিঠুন। ৫১ বলে গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি।
২৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৩৫/৩। ইমরুল ৭১ ও মিঠুন ৩৭ রানে ব্যাট করছেন।
বাংলাদেশের একশ
২২তম ওভারে সিকান্দার রাজাকে ছক্কায় ওড়ালেন মোহাম্মদ মিঠুন। পরের ওভারে ব্রেন্ডন মাভুটার বল গ্যালারিতে পাঠিয়ে দিলেন ইমরুল কায়েস। পরপর দুই ছক্কায় এগোল বাংলাদেশ। ২৩তম ওভারে তিন অঙ্কে গেল স্বাগতিকদের রান।
মাভুটার সেই ওভারে পরের বলে আবার মিডউইকেট দিয়ে ছক্কা তুলে নেন ইমরুল।
একটু মন্থর শুরু করা বাংলাদেশ বাড়াচ্ছে গতি। ২৬তম ওভারে রাজাকে পরপর দুই বলে ছক্কায় ওড়ান মিঠুন।
২৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৩২/৩। ইমরুল ৬৯ ও মিঠুন ৩৬ রানে ব্যাট করছেন।
ইমরুলের ফিফটিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশ
দ্রুত ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে টানছেন ইমরুল কায়েস। তুলে নিয়েছেন ষোড়শ ফিফটি।
সিকান্দার রাজার বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৬৪ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। সবশেষ চার ম্যাচে এটি তার দ্বিতীয় ফিফটি। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পথে পাঁচটি চারের সঙ্গে হাঁকিয়েছেন একটি ছক্কা।
২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৮৮/৩। ইমরুল ৫১ ও মোহাম্মদ মিঠুন ১১ রানে ব্যাট করছেন।
বাজে বলে আউট মুশফিক
আস্থার সঙ্গে খেলতে থাকা মুশফিকুর রহিম আউট হয়ে গেলেন বাজে এক বলে। রিভিউ নিয়ে তাকে ফিরিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
লেগ স্পিনার ব্রেন্ডন মাভুটার বল লেগ স্টাম্পে পড়ে আরও বাইরে যাচ্ছিল। পুল করতে চেয়েছিলেন মুশফিক কিন্তু ঠিক মতো শট খেলতে পারেননি। ব্যাট ছুঁয়ে জমা পড়ে কিপার ব্রেন্ডন টেইলরের গ্লাভসে।
আম্পায়ার কট বিহাইন্ডের আবদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় জিম্বাবুয়ে। তাতে পাল্টায় সিদ্ধান্ত। ২০ বলে এক চারে ১৫ রান করে ফিরে যান মুশফিক।
১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৬৬/৩। ক্রিজে ইমরুল কায়েসের সঙ্গী মোহাম্মদ মিঠুন।
পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের ২ উইকেট
পাওয়ার প্লেতে দুটি উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। পরিস্থিতি হতে পারতো আরও খারাপ। জিম্বাবুয়ের ফিল্ডাররা ছেড়েছেন দুটি ক্যাচ।
১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩৯/২। ইমরুল কায়েস ২১ ও মুশফিকুর রহিম ১০ রানে ব্যাট করছেন।
এক ওভারে লিটন দাস ও ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে বিদায় করেছেন তেন্দাই চাতারা। জীবন পাওয়ার পর থেকে আস্থার সঙ্গে খেলছেন ইমরুল। ক্রিজে এসেই যথারীতি ইনিংস মেরামতের কাজে লেগে পড়েছেন মুশফিক।
উইকেটে বোলারদের জন্য খুব বেশি সহায়তা নেই। তবে আঁটসাঁট বোলিংয়ে ব্যাটসম্যানদের বেঁধে রেখেছেন জিম্বাবুয়ের পেসাররা। চেপে বসা ফাঁস আলগা করার চেষ্টায় মাঝে মধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলেছেন ইমরুল।
অভিষেকে ফজলে রাব্বির শূন্য
লিটন দাসের পর ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে ফিরিয়ে দিলেন তেন্দাই চাতারা। এক ওভারে দুই উইকেট হারাল বাংলাদেশ। অভিষেকে রানের খাতা খুলতে পারেননি ফজলে রাব্বি।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ত্রয়োদশ ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেকে শূন্য রানে ফিরলেন তিনি।
চাতারার বাড়তি লাফানো বল চমকে দেয় বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে। ভড়কে যাওয়া ফজলে রাব্বি ছাড়বেন না খেলবেন তা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যান। তার ব্যাটের কানায় লেগে আসা ক্যাচ লাফিয়ে এক হাতে গ্লাভসে জমান কিপার ব্রেন্ডন টেইলর।
৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৭/২। ক্রিজে ইমরুল কায়েসের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।
টিকলেন না লিটন
জীবন কাজে লাগাতে পারলেন না লিটন দাস। বেরিয়ে এসে তেন্দাই চাতারাকে ওড়ানোর চেষ্টায় ফিরে গেলেন ডানহাতি এই ওপেনার।
তেড়েফুরে মারতে গিয়ে কয়েকবার বলে-ব্যাটে করতে পারেননি লিটন। ষষ্ঠ ওভারের শুরুতেই এগিয়ে গিয়ে ছক্কায় উড়াতে চেয়েছিলেন চাতারাকে। টাইমিং করতে পারেননি লিটন, সহজ ক্যাচ যায় মিড অফে। খানিক আগে স্কয়ার লেগে ইমরুল কায়েসকে জীবন দেওয়া সিফাস জুওয়াও এবার ক্যাচ জমান মুঠোয়।
১৪ বলে ৪ রান করে ফিরে যান লিটন।
৫.১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৬/১। ক্রিজে ইমরুলের সঙ্গী অভিষিক্ত ফজলে মাহমুদ রাব্বি।
বেঁচে গেলেন ইমরুলও
লিটন দাসের পর জীবন পেলেন ইমরুল কায়েসও। ডোনাল্ড টিরিপানোর বলে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
লেগ স্টাম্পের বল ফ্লিক করে উড়াতে চেয়েছিলেন ইমরুল। টাইমিং ঠিক মতো হয়নি, ক্যাচ যায় স্কয়ার লেগে। সীমানায় বল মুঠোয় নিতে পারেননি সিফাস জুওয়াও। জীবন পাওয়ার সঙ্গে বাউন্ডারিও পেয়ে যান ইমরুল। সে সময় ৭ রানে ব্যাট করছিলেন তিনি।
৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৬/০। ইমরুল ১১ ও লিটন ৪ রানে ব্যাট করছেন।
জীবন পেলেন লিটন
কাইল জার্ভিসের বলে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গেছেন লিটন দাস। কাভারে ক্যাচ মুঠোয় নিতে পারেননি সিকান্দার রাজা।
অফ স্টাম্পের বাইরের বল মাটিতে রাখতে পারেননি লিটন। নিচু ক্যাচ যায় রাজার কাছে। ডাইভ দিয়ে বল মুঠোয় নিয়ে জিম্বাবুয়ের এই ফিল্ডার ইশারায় জানান, ক্যাচের ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত নন।
আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা আউটের ‘সফট সিগন্যাল’ দিয়ে পাঠান তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। কয়েকবার রিপ্লাই দেখে আম্পায়ার রড টাকার জানান ‘নট আউট’। রাজা ক্যাচ ধরার পর মাটি ছুঁয়েছিল বল তাই বেঁচে যান লিটন। সে সময়ে ২ রানে ব্যাট করছিলেন তিনি।
৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৯/০। লিটন ২ ও ইমরুল কায়েস ৬ রানে ব্যাট করছেন।
ফিরলেন রাজা, জুওয়াও
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলা তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডের দল থেকে দুটি পরিবর্তন এনেছে জিম্বাবুয়ে। ফিরেছেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা ও ওপেনার সিফাস জুওয়াও।
বাদ পড়েছেন বিসিবি একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে লড়াকু ৪৭ রানের ইনিংস খেলা এল্টন চিগুম্বুরা। টানা ব্যর্থতায় একাদশে জায়গা হারিয়েছেন ওপেনার সলোমন মিরে।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, সিফাস জুওয়াও, ক্রেইগ আরিভন, ব্রেন্ডন টেইলর, শন উইলিয়ামস, পিটার মুর, সিকান্দার রাজা, ডোনাল্ড টিরিপানো, ব্রেন্ডন মাভুটা, কাইল জার্ভিস, তেন্দাই চাতারা।
রাব্বির অভিষেক
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর জাতীয় দলে আসা ফজলে মাহমুদ রাব্বির অভিষেক হচ্ছে। দলে ফিরেছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলা দল থেকে এসেছে দুটি পরিবর্তন। মাত্রই জ্বর থেকে সেরে উঠা পেসার রুবেল হোসেন নেই একাদশে। আর স্কোয়াডেই ছিলেন না সৌম্য সরকার।
৩০ বছর বয়সে অভিষিক্ত ফজলে রাব্বি বাংলাদেশের ১২৯তম ওয়ানডে ক্রিকেটার। আর গত জানুয়ারিতে দেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে সবশেষ ওয়ানডেতে খেলেছিলেন সাইফ।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ মিঠুন, নাজমুল ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস ভাগ্যকে পাশে পেলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। টস জিতে ব্যাটিং নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
‘ছোট’ সিরিজ বড় চ্যালেঞ্জ
ধারে-ভারে, গুরুত্বে-তাৎপর্যে এশিয়া কাপের কাছাকাছিও নয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ। তবে সেসব কেবলই বাইরের অনুরণন। মাঠে লড়বেন যে কজন, তাদের মনে এই সিরিজও ঝংকারও তুলবে একই তীব্রতায়। ড্রেসিং রুমে সেই বার্তাই দিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রতিপক্ষ হোক যেমন-তেমন, বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ নিজেদের পারফরম্যান্সের চূড়ায় থাকা।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের নতুন আন্তর্জাতিক মৌসুম। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে, শুরু হবে রোববার দুপুর আড়াইটায়।
দেশের মাটিতে সবশেষ ১৩ ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতেছে বাংলাদেশ। তবে সহজ কিছুর ভাবনাকে মনে প্রশ্রয় দিতে চান না মাশরাফি। ম্যাচের আগের দিন বাংলাদেশ অধিনায়ক জানিয়ে দিলেন, এশিয়া কাপের গুরুত্ব দিয়েই এই সিরিজ খেলবে তার দল।
“চ্যালেঞ্জ প্রতি ম্যাচে যেটি থাকে, এবারও সেটিই। সবার প্রত্যাশা, আমরা জিতব এবং জেতার আশা করছে সবাই। সেটিই স্বাভাবিক। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, অন্য দলের বিপক্ষে যে চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেলেছি, যেভাবে এশিয়া কাপে খেলেছি, সেটি থাকবে এখানেও।” বিডি নিউজ