রাজশাহীতে আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা নিহত
- Dec 01, 2018
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) এনামুল হক ও দলের মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। এসময় অাহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
শনিবার দুপুরে তাহেরপুরের হরিতলা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানান বাগমারা থানার ওসি নাছিম আহমেদ। এ ঘটনায় পুলিশ তিন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় আহত দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত যুবলীগ নেতার নাম চঞ্চল চন্দ্র। তিনি তাহেরপুর পৌরসভার হলদারপাড়ার নরেন চন্দ্রের ছেলে। চঞ্চল চন্দ্র পৌরসভা যুবলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য। বিকাল সোয়া ৪টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চঞ্চল। তার পিঠে একটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা যায়।
বাগমারা থানার ওসি নাছিম আহমেদ জানান, বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মেয়র আবুল কালাম আজাদের সমর্থকরা জামগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও এমপির সমর্থক গুলবার রহমানকে মারপিট করে জখম করে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনার জের ধরে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে তাহেরপুর হরিতলা এলাকায় দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও জানান, আহতদের মধ্যে এমপির সমর্থক গুলবার ও কাওসার আলী এবং মেয়রের সমর্থক চঞ্চল চন্দ্রকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুবলীগ নেতা চঞ্চল মারা যান। এ ঘটনায় তাহেরপুর পৌরসভা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তাহেরপুর ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মাহাবুর রহমান বিপ্লবসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।