প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে মিডিয়ার বিকাশ ঘটেছে: তথ্যমন্ত্রী
- Jan 13, 2019
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মিডিয়ার বিকাশ ঘটেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। ১৯৯৬ সালে দায়িত্বভার গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত (প্রাইভেট) টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন দিয়েছেন। বর্তমানে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা ৪৪টি এবং অন-এয়ারে রয়েছে ৩০টি। অনলাইন গণমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ার বিকাশ ঘটেছে এই সময়ে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আট কোটি, সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারকারী ৯ কোটি এবং মোবাইল ব্যবহারকারী রয়েছে ১৪ কোটি। এই সময়ে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে।’
রবিবার (১৩ জানুয়ারি) তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত কর্ম পরিকল্পনা বিষয়ক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল মালেক এবং মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সব সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যম উত্তম সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশুর মনন বিকাশে এবং পূর্ণবয়স্কদের মনন সঠিক পথে প্রবাহিত করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কেউ স্বীকার করুক আর না করুক শেখ হাসিনার হাত ধরেই এই অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ। বাংলাদেশ এখন নিউক্লিয়ার এবং স্যাটেলাইট ক্লাবের সদস্য। কুঁড়েঘর এখন ছবিতে দেখা যায়, কবিতায় পড়া যায়, বাস্তবে বাংলাদেশে এখন কোনও কুঁড়েঘর নেই। আকাশ থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম চেনা যায় না। ঢাকার ফ্লাইওভার এবং চট্টগ্রামের আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভার দেখলে মনে হয়, ইংরেজি ছবির দৃশ্য। ১৭ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ বর্তমানে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ। অথচ, সাড়ে চার কোটি মানুষ যখন ছিল, তখনই বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি শুরু হয়েছিল। এই সবকিছু সফল হয়েছে শেখ হাসিনার জাদুকরি নেতৃত্বের ফলে, জাদুর বলে নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় জীবনে স্বপ্ন থাকতে হয়। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকলে সমালোচনা হবে। অন্ধ এবং একপেশে সমালোচনা কল্যাণকর হয় না। সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি শেখ হাসিনা চালু করেছেন। বাংলাদেশের উন্নয়নকে ব্যাহত করতে একটি পক্ষ পেছন থেকে টেনে ধরার চেষ্টা করছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ড. কামাল হোসেনকে ধন্যবাদ যে তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন, জামায়াতকে নিয়ে নির্বাচন করা তার ভুল হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, তিনি জামায়াতকে বাদ দিয়ে এখন রাজনীতি করবেন। আমরা মনে করি, তার দলের সংসদ সদস্যদের শপথ না নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন, সেই ভুল সিদ্ধান্তটিও তিনি পরিবর্তন করবেন।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সম্প্রচার আইন চলমান আছে। গণমাধ্যমকর্মীদের সম্মান বাড়াতে যা যা করার প্রয়োজন তথ্যমন্ত্রী হিসেবে সেটি করা আমার দায়িত্ব এবং আমি তা করবো।’
হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফীর বক্তব্য সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মন্ত্রি বলেন, ‘যেহেতু হেফাজত বিবৃতি দিয়ে বলেছে— এ বক্তব্য তাদের নয় এবং তারা এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে, তাই এ সম্পর্কে আমি আর কোনও কথা বলবো না।’
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন