গুজব ছড়ালেই আইনগত ব্যবস্থা : চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার
- Jul 25, 2019
গুজব কিংবা অপপ্রচারে কান দিয়ে বিভ্রান্ত না হতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছেন পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম।
বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা ও রক্ত লাগবে’ আর এ কাজে ‘ছেলেধরা’ ব্যবহার করা হচ্ছে। এমন গুজব ছড়িয়ে এলাকায় অপরিচিতদের ছেলেধরা ভেবে গণপিটুনিতে নির্মম ভাবে হত্যা করা হচ্ছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই নিজেদের মধ্যে পুর্বশত্রুতার রাগ মিটিয়ে নিচ্ছেন। আর এর মধ্য দিয়ে দেশের পরিবেশ অস্থিতিশীল করে তোলা হচ্ছে। যা আমাদের কারোরই কাম্য নয়। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া বড় অপরাধ। কারণ দেশে পুলিশ প্রশাসন ও আইন রয়েছে। তাই সন্দেহভাজনদের হত্যা বা মারপিট না করে, নিকটস্থ থানায় জানান। পাশাপাশি কোথাও কাউকে মারধরের ঘটনা দেখলেও পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করেন তিনি। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য পুলিশ সুপার সকলের সহযোগীতাও কামনা করেন।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে জনগনের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম চালাচ্ছে জেলা পুলিশ। এরই মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫ উপজেলাতে একযোগে মাইকিং ও এ সংক্রান্ত লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। শুক্রবার মসজিদগুলোতে খুতবার সময় গুজবে কান না দেওয়ার ব্যাপারেও আলোচনার জন্য ঈমামদের আহবান জানানো হয়েছে। আর এমন সচেতনতার মধ্য দিয়ে দেশে স্বাভাবিক ও শান্তিপুর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
তিনি আরোও বলেন, ফেসবুক একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। কিন্তু সেটিকে নিজস্ব রচনা ক্ষেত্র বানিয়ে ফেলা হয়েছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টসের নির্দেশনা রয়েছে চলমান ইস্যু নিয়ে উস্কানিমূলক ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ বাহিনী এমন অস্থিতিশীল পরিবেশ মোকাবেলায় সজাগ রয়েছে। ফেসবুকসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে তদারকিতে রাখা হয়েছে। যারা ফেসবুকে এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদেরকে চিহ্নিত করার কাজ করছে পুলিশ। ইতোমধ্যে আমরা জন সচেতনতামূলক, প্রতিরোধমূলক ও আইনগত-এই তিন ধাপে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এরইমধ্যে সন্দেহজনক ৬০টি ফেসবুক আইডি, ২৫টি ইউটিউব লিংক এবং ১০টি নিউজ পোর্টাল বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুজব রটনাকারী অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) ফজল-ই-খুদা, ডিআই-১ মো. জাকারিয়া, সদর থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান পিপিএম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সহ জেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।