• Tuesday, December 3, 2024

ধর্ম কিংবা দলের ভিত্তিতে বিভাজন চরম অন্যায়: জামায়াত আমির

  • Sep 01, 2024

Share With

ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, যারা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে অন্য ধর্মের মানুষ দ্বারা হামলার শিকার হয়েছেন, আপনারা হামলাকারী বা দুষ্কৃতকারীর নাম প্রকাশ করেন। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলুন।

ধর্ম বা দলের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে বিভক্ত করাকে চরম অন্যায় বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। শনিবার (৩১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কবি-লেখক-শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক ঐক্য ফ্রন্ট আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

জামায়াত আমির বলেন, ‘ধর্ম কিংবা দলের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে বিভক্ত করা চরম অন্যায়। আমি ব্যক্তি ও আমার দলের লোকেরাও ভুলের উর্ধ্বে নয়। ভুল যদি ধরিয়ে না কেউ দেয়, তাহলে তো ভুলকে শুদ্ধ মনে করে এটার ওপরই আমি প্রতিষ্ঠিত থাকব। আমরা এই জায়গাটাকে এনকারেজ করি, ওয়েলকাম করি। সম্ভবত আমাদের নিয়ে যত কাটাছেঁড়া হয়েছে সত্য মিথ্যা যাই হোক, অন্য কোনো দলকে আমার মতে এটা করা হয়নি।’ রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের প্রত্যাশা পূ্রণে ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন শফিকুর রহমান। তিনি জানান, জামায়াত প্রতিশোধে বিশ্বাসী নয় এবং ক্ষমতায় গেলে বস্তুনিষ্ঠ থাকবে।

তিনি বলেন, আমরা সব ধর্মের মানুষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে মিশেছি। সবাইকে একটা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি, ধর্মের ভিত্তিতে জাতিকে বিভাজিত করা আমাদের কাজ নয়। ধর্ম যার যার নিজস্ব পছন্দ।

শফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের মানুষের আবাসভূমি। এদেশের ৯০ থেকে ৯১ শতাংশ মানুষ ইসলামে বিশ্বাসী। বাকি অন্য ধর্মের যারা আছেন তাদের আমরা সম্মান করি। এ বিশ্বাসের কারণে বাংলাদেশ হচ্ছে ধর্মীয় সম্প্রতির এক বৈচিত্র্যময় লীলাভূমি। আমরা বিগত আন্দোলনে দেখেছি দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা পাহারা দিয়েছে মাদরাসার ছাত্ররা। পাহারা দিয়েছে ইসলামী দলের লোকেরা। এটা তো তাদের প্রতিষ্ঠান নয়। তারা জানেন অন্য লোকদের ধর্ম চর্চার অধিকার আল্লাহ তায়ালা দিয়েছেন। তবে সঠিক রাস্তাও জানিয়ে দিয়েছেন। কারো ওপর কোনো জোর-জবরদস্তির এখতিয়ার আল্লাহ দেননি।

সমাজের কিছু দুষ্টু লোক আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ দুষ্টু লোকরা নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য দুষ্কর্ম করে। এর দায় নিরীহ মানুষের ওপর চাপিয়ে দেয়। আর দুষ্কৃতকারীরা পর্দার আড়ালে থেকে যায়। আমরা সব ধর্মের মানুষের সঙ্গে নিবিড় ভাবে মিশেছি।

তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদরা জাতির সেবক, তারা দেশের মালিকানা দাবি করতে পারেন না। সব নাগরিক ন্যায্যতার ভিত্তিতে তাদের অধিকার পাবে। কোনো ধর্মের ওপর জোর-জবরদস্তির এখতিয়ার আল্লাহ কাউকে দেননি।’

অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে শফিকুর রহমান বলেন, বিগত বছরগুলোতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনি দেশের গণমাধ্যম। সাংবাদিকরা এখন তাদের বিবেক অনুযায়ী কাজ করবেন। চিন্তার জগতে কোনো আপস নেই। সত্য প্রকাশে কাউকে পরোয়া করার সুযোগ নেই।

সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেন্ট, জাগো নিউজ ও আর টিভি