রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
- Dec 01, 2024
রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (রামেবি) স্থাপন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার রাজশাহী নগরীর বাজেসিলিন্দার প্রকল্প এলাকায় নির্মাণ কাজের উদ্বোধন ফলক উন্মোচন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রামেবির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোহা. জাওয়াদুল হক।
এর আগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খন্দকার মো. ফয়সল আলম। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ডা. মো. জাকির হোসেন খোন্দকার।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ও মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর ড. কেরামত আলী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নগরীর বড়বনগ্রাম, বাজেসিলিন্দা ও বারইপাড়া মৌজার ৬৭ দশমিক ৬৭৯২ একর জমির ওপর এই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ হতে যাচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে নির্মাণ কাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ১ হাজার ২০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি ১২ তলা অত্যাধুনিক হাসপাতাল ভবন। হাসপাতালে ২২টি লিফটের পাশাপাশি থাকবে ৪টি স্কেলেটর। হাসপাতালের সন্নিকটেই থাকবে বেসমেন্টসহ ১০ তলা বিশিষ্ট একটি আধুনিক একাডেমিক ভবন।
প্রথমপর্যায়ের নির্মাণের শেষেই নির্মিত হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসভবন, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তিনটি ডরমেটরি, একটি মর্গ, একটি স্কুল, একটি মসজিদ, তিনটি বিদ্যুতের সাব-স্টেশন, একটি স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন, সীমানা প্রাচীর, তিনটি গেট, ২০টি নিরাপত্তা চৌকি, যাতায়াতের রাস্তা, নিজস্ব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সুপেয় পানি সরবরাহ ব্যবস্থাসহ আরও নানা কিছু।
প্রথম পর্যায়ের প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৭৬ কোটি টাকা। এছাড়াও নির্মাণ কাজে ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩ কোটি টাকা। আর যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্রের জন্য অনুসাঙ্গিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭৮ কোটি টাকা। প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে ২০২৭ সালের ৩০ জুনের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজ শেষে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পর দশটি ফ্যাকাল্টি ও তার আওতাধীন ৬৮টি বিভাগের মাধ্যমে প্রতিবছর প্রায় ৭৩০ জন চিকিৎসক ও ৫০ জন নার্স স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন এখান থেকে। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে এখানে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। উত্তরাঞ্চলের প্রায় ২ কোটি মানুষ উন্নত চিকিৎসা সেবার আওতায় আসবেন।