• Thursday, March 28, 2024

চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩০২ পদে সহকারী শিক্ষক নেই

  • Sep 15, 2018

আলোকিত ডেস্ক : চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষক সংকট থেকেই যাচ্ছে। সব বিদ্যালয়ে চাহিদার তুলনায় শিক্ষক কম থাকায় পাঠদানও ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষক সংকটে চরাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। এক আলাতুলি কোদালকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় সাড়ে ৫শ ছাত্রছাত্রীর মাত্র ২ জন শিক্ষক রয়েছেন। তবে গত কয়েকদিন আ পূর্বে প্রধান শিক্ষকের পদটি পূরণ করা হয়েছে। জেলায় বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের পদশূন্য রয়েছে ৬১টি এবং ৩০২টি সহকারী শিক্ষকের পদশূন্য রয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন থেকে জানা গেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পাঁচ উপজেলায় ১৮৭জন সহকারী শিক্ষককে বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব (চলতি দায়িত্ব) দেওয়া হয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. আব্দুল ওয়াহেদ স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ১৮৭ জন সহকারী শিক্ষককে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্যপদে চলতি দায়িত্ব হিসেবে প্রধান শিক্ষক পদে দায়িত্ব দেওয়া হল।

ওই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ি গোমস্তাপুর উপজেলায় ২৫ জন, সদর উপজেলায় ৪৯ জন, ভোলাহাট উপজেলায় ১৪ জন, শিবগঞ্জ উপজেলায় ৭৫জন ও নাচোল উপজেলায় ২৪ জন সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) প্রদান করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ ইতোমধ্যে তাঁদের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। এর ফলে জেলায় সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক সংকট থেকেই যাচ্ছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের মনিটরিং অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, জেলায় প্রধান শিক্ষকের পদ হচ্ছে ৭০৫টি। এর মধ্যে শূন্য ছিল ২৪৮টি। এই ২৪৮টির মধ্যে ১৮৭টি পদ সহকারী শিক্ষকদের দিয়ে পূরণ করা হয়েছে। বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের ৬১ টি পদ শূন্য রয়েছে। তিনি জানান, জেলার প্রাক প্রাথমিকসহ ৭০৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের মঞ্জুরিকৃত পদ ৪ হাজার ৪২টি। এর মধ্যে ২৩৮টি পদ শূন্য ছিল। তবে এ পদে নতুন করে নিয়োগ পাচ্ছেন ১২৩ জন। এতে শূন্য পদের সংখ্যা ১১৫তে নেমে এসেছে। কিন্তু এ পদে কর্মরত থাকা ১৮৭ জনকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে (চলতি দায়িত্ব) দায়িত্ব দেওয়ায় শূন্য থাকছে ৩০২টি পদ।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল কাদের জানান, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ি প্রধান শিক্ষক হিসেবে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্তদের ইতোমধ্যে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণে উদ্যোগ আছে কী না এমন প্রশ্নের উত্তরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল কাদের বলেন-প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদগুলো নিয়ে জটিলতা আছে, তাই বলা যাচ্ছে না, তবে সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদে লোক নিয়োগের জন্য ইতোমধ্যে সার্কুলার জারি করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই শিক্ষক সংকট দূর হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন এই শিক্ষা কর্মকর্তা।
অন্যদিকে জেলার চরাঞ্চলগুলোয় প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে।

সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজমা খাতুন জানান, শহর এলাকায় শিক্ষক সংকট নেই,তবে চরাঞ্চলের আছে। এক দীর্ঘদিন ধরে আলাতুলি-কোদালকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র ২জন শিক্ষক দিয়ে প্রায় সাড়ে ৫শ ছাত্রছাত্রীকে পাঠদান করা হচ্ছে। গত কয়েকদিন আগে প্রধান শিক্ষকের পদটি পূরণ করা হয়েছে।  সূত্র : দৈনিক গৌড় বাংলা