• Thursday, April 25, 2024

শেখ হাসিনা সরকারের লক্ষ্য নতুন বাংলাদেশ তৈরি

  • Sep 08, 2018

জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের আপামর জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নে প্রত্যেকটি খাতে যথাযথ কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে উন্নয়নকে গতিশীল করেছেন। এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৭.১১-তে পৌঁছেছে। পরিকল্পনা করেছেন চট্টগ্রামকে দ্বিতীয় সিঙ্গাপুর বানানোর। বাস্তবায়ন হচ্ছে ১০০ ইকোনমিক জোন। অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে নজরকাড়া সাফল্য হিসেবে দেখা দিচ্ছে পদ্মাসেতু। পাশাপাশি চার লেন মহাসড়ক, উড়ালসড়ক এখন আর স্বপ্ন নয়, রীতিমতো বাস্তবতা। শেখ হাসিনার পরিকল্পনাতেই বাংলাদেশ এখন প্রায় সব ক্ষেত্রে ডিজিটাল। পাওয়া যাচ্ছে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎও। প্রযুক্তিবান্ধব কৃষিনীতির কারণেই বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পর রফতানির সক্ষমতাও অর্জন করেছে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম চাল উৎপাদনকারী দেশ। ফলের ফলনও ঈর্ষণীয়। ইলিশ উৎপাদনে প্রথম, আম উৎপাদনে সপ্তম এবং পেয়ারা উৎপাদনে দেশ অষ্টম স্থানে। মাছ উৎপাদনেও চতুর্থ অবস্থান। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রফতানিকারক দেশের দাবিও রাখে বাংলাদেশ। দেশি-বিদেশি অনেক অর্থনীতিবিদ, বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ, বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের অভিমতেও আমাদের অর্জনের বিস্তর স্বীকৃতি রয়েছে।

বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে সরকার দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৭.২৮ শতাংশ। এ সময়ে মাথাপিছু জাতীয় আয় পূর্ববর্তী অর্থবছর হতে ১৪৫ মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পেয়ে ১,৬১০ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। একই সময় রফতানি আয় ৩৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বস্ত্র ও পাট খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। দেশের মোট রফতানি আয়ের ৮৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ বস্ত্র খাত থেকে অর্জিত হয়। সরকার প্রতি বছরের ন্যায় ২০১৮ সালে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস হতে খাদ্যশস্য সংগ্রহের মাধ্যমে সরকারি গুদামসমূহে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ গড়ে তুলছে। গত বছর ফসলহানির কারণে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহের পাশাপাশি বৈদেশিক উৎস হতে ১৫ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সংগ্রহের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সরকার স্বল্প ও সীমিত আয়ের জনগোষ্ঠীকে খাদ্য নিরাপত্তা প্রদানের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির গ্রহণ করেছে।

পানি ব্যবস্থাপনাসহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং হাওর-বাওরের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আগ্রহে দেশের প্রধান প্রধান নদীসমূহে ড্রেজিং ও নদী-ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের আওতায় ২৫৪টি গুচ্ছগ্রাম প্রতিষ্ঠা করে ১০ হাজার ৭০৩টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য দূরীকরণ ও তাদের স্বাবলম্বী করার জন্য ক্ষুদ্র ঋণের পরিবর্তে ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে গুরুত্ব দিয়ে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় দেশের ১৭ লাখ ১১ হাজার ১৮৬টি বাড়িতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পারিবারিক খামার স্থাপন করা হয়েছে।

দেশে প্রাথমিক শিক্ষা সম্প্রসারণ ও মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নসহ শিক্ষার জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানে বিভিন্ন মেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় ইতোমধ্যে এক হাজার ৪৫৮ প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বই সরবরাহ করা হচ্ছে।

মহাকাশে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’-এর সফল উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সফলভাবে পরিচালনার জন্য ‘বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড’ গঠন করা হয়েছে।

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে পুলিশ বাহিনীতে বিভিন্ন পদবির ৪৫ হাজার ৫৫৭টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। সারাদেশে ১০১টি নতুন থানা ভবন, ৫০টি হাইওয়ে আউটপোস্ট, ১৯টি নৌ পুলিশ ফাঁড়ি এবং ব্যারাক, ৯টি পুলিশ সুপার অফিস ভবন নির্মাণসহ অনুরূপ আরও স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। সীমান্তে নজরদারির জন্য ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তে চারটি ব্যাটালিয়ন এবং ৬০টি বিওপি করা হয়েছে।

অব্যাহত উন্নয়ন যাত্রায় দেশ এখন সমৃদ্ধ। অনির্বাণ আগামীর প্রত্যাশায় জয়যাত্রা চলুক বহুদূর।