আয় বেড়েছে হস্তশিল্প রফতানিতে
- Oct 22, 2018
আয় বেড়েছে দেশীয় হ্যান্ডিক্রাফট বা হস্তশিল্প রফতানিতে। সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে আয় হয়েছে ১ কোটি ৬৭ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি। এই আয়ে প্রবৃদ্ধিও এসেছে ১৫ শতাংশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে হ্যান্ডিক্রাফটের সম্ভাবনা অনেক। কারণ, এখানে অল্প টাকায় দক্ষ শ্রমিক পাওয়া যায়। তাই দেশের চাহিদা মিটিয়ে প্রচুর পরিমাণে হ্যান্ডিক্রাফট বিদেশে রফতানি করা সম্ভব হচ্ছে। তাই দেশে আরও বেশি করে উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে।
বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য মতে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ খাতে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল এক কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয় এক কোটি ৬৭ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেশি হয়েছে ৭ লাখ ডলার বা ৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। এই আয় আগের বছরের আয়কে ছাড়িয়ে গেছে। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ শতাংশ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ খাত থেকে রফতানি আয় হয় ১ কোটি ৪৪ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ থেকে পাটের তৈরি পণ্য, বাঁশ ও বেতের তৈরি বিভিন্ন ধরনের ঝুড়ি, ফ্লোর কাভারিংয়ের ম্যাট বা কার্পেট, নকশি কাঁথা ও নকশি বেডশিট সবচেয়ে বেশি রফতানি হয়।
রফতানিকারকরা জানান, বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে হ্যান্ডিক্রাফট রফতানি করে থাকে বাংলাদেশ। উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশের হ্যান্ডিক্রাফটের বড় বাজার রয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের দাবি- চায়না, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলো যারা হ্যান্ডিক্রাফট উৎপাদনের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত, তারা এখন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রির দিকে যাচ্ছে। ফলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবস্থান শক্ত করার সুযোগ আছে। আগে এসব পণ্যের ক্রেতা বাংলাদেশে আসত না, এখন তারা বাংলাদেশে আসছেন। তাই বিভিন্ন আঙ্গিকে এসব পণ্যের বাজার তৈরি হচ্ছে।
স্যোসাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) স্টলের নারী উদ্যোক্তা শিরিন আক্তার বলেন, ‘আগে এ খাতের কোনো ভবিষ্যৎ ছিল না। বর্তমানে দেশে ও বিদেশে হ্যান্ডিক্রাফটের অনেক কদর বেড়েছে। ঘর সাজানো থেকে শুরু করে আসবাবপত্র ও বিভিন্ন নকশি ডিজাইন এখন সবার নজর কাড়ছে। বিক্রিও হচ্ছে দেদার। শুধু তাই নয়, এসব পণ্যের কদর দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও বিক্রি হচ্ছে। তাই সবদিক বিবেচনা করে দেশের শিক্ষিত ও মেধাবী তরুণ-তরুণীরা এ পেশায় আসছেন। তাই এ খাতে কর্মসংস্থানও তৈরি হচ্ছে।