শুক্রবার চালু হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা ‘ম্যাংগো স্পেশাল’ ট্রেন
- Jun 04, 2020
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী-ঢাকা রুটে চালু হচ্ছে ‘ম্যাংগো স্পেশাল’ ট্রেন। শুক্রবার থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীর আমসহ অন্যান্য পার্সেল পরিবহনের জন্য ট্রেনটি চালু করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার পশ্চিম রেলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (পাকশি) ফুয়াদ হোসেন আনন্দ রাজশাহী রেল স্টেশনে সংবাদ সম্মেলনে জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে যখন ঢাকা যাবে তখন ট্রেনটির নাম হবে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন-২’। আর ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফেরার পথে নাম হবে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন-১’।
ট্রেনটি সপ্তাহে প্রতিদিন চলাচল করবে। প্রতিদিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসবে বিকাল ৪টায়। রাজশাহী পৌঁছবে ৫টা ২০ মিনিটে। এখানে ৩০ মিনিট থেমে ৫টা ৫০ মিনিটে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করবে।
এরপর ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছবে রাত ১টায়। ঢাকা থেকে ট্রেনটি রাত ২টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে আসবে। রাজশাহী পৌঁছবে সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে। এখানে ২০ মিনিট থেমে ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। পৌঁছবে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে।
ট্রেনটিতে মোট ছয়টি ওয়াগন থাকবে। প্রতিটি ওয়াগনে ৪৫ হাজার কেজি আম নেয়া যাবে। তবে শুধু আম নয়, সব ধরনের শাক-সবজি, ফলমূল, ডিমসহ কৃষি পণ্য, বাড়ির ফার্নিচার এবং রেল আইনে পার্সেল হিসেবে বহনযোগ্য সবসামগ্রী বহন করা হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে এসে ট্রেনটি আমনূরা বাইপাস, কাঁকনহাট, রাজশাহী, সরদহ, আড়ানি ও আব্দুলপুর বাইপাস স্টেশনে থামবে। এস ব স্থানে আমসহ পার্সেল পণ্য ট্রেনে তোলা হবে। টাঙ্গাইল, মির্জাপুর, কালিয়াকৈর, জয়দেবপুর, টঙ্গি, বিমানবন্দর, ক্যান্টনমেন্ট, তেজগাঁও এবং কমলাপুর স্টেশনে ট্রেনটি থামবে। ফেরার পথে ট্রেনটি তেজগাঁও, টঙ্গি, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, চাটমোহর এবং রাজশাহী স্টেশনে থামবে।
তবে যাত্রাপথে কোথাও সাধারণ যাত্রী এ ট্রেনে তোলা হবে না।
ট্রেনটিতে রাজশাহী স্টেশন থেকে এক কেজি আম ঢাকার বিমানবন্দর, তেজগাঁও বা কমলাপুরে নিতে খরচ পড়বে ১ টাকা ১৮ পয়সা। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এক কেজি আমের ভাড়া লাগবে ১ টাকা ৩০ পয়সা। রেলের নিয়ম অনুযায়ী ট্রেন ছাড়ার আগে যে কেউ তাদের মালামাল বুকিং দিতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে পশ্চিম রেলের কর্মকর্তা ফুয়াদ হোসেন আনন্দ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগকালে চাষীদের পাশে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী থেকে এবারই প্রথম এ ধরনের ট্রেন চালু করা হচ্ছে। লকডাউনে বেশিরভাগ ট্রেন বন্ধ থাকায় ট্র্যাক যেমন ফাঁকা থাকছে তেমনি অনেক ইঞ্জিনও পড়ে আছে। তাই এটা সম্ভব। কিন্তু সব ট্রেন যখন চালু হবে কিংবা আমের মৌসুম শেষ হলে এটি চালানো সম্ভব হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে পশ্চিম রেলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আহছান উল্ল্যা ভুঁইয়া, রাজশাহী রেল স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবদুল করিম উপস্থিত ছিলেন। তারা জানিয়েছেন, ট্রেনটি চালু করতে বৃহস্পতিবারই সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ট্রেনটিতে রাজশাহী-চাঁপাইয়ের আম চাষীরা উপকৃত হবেন বলে তারা মনে করছেন।