• Thursday, November 21, 2024

সরকার সাত লাখ কৃষককে দিচ্ছেন ৮০ কোটি টাকার বীজ-সার 

  • Oct 07, 2018

Share With

এগারোটি ফসলের উৎপাদন বাড়াতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ৬ লাখ ৯০ হাজার ৯৭০ জন কৃষকের জন্য ৭৯ কোটি ৯৯ লাখ ৮২ হাজার ৪৯৫ টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে সরকার।

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী রবিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।

চলতি মৌসুমে গম, ভুট্টা, সরিষা, চীনাবাদাম, ফেলন, খেসারি, বিটি বেগুন, বোরো, শীতকালীন মুগ এবং পরবর্তী খরিপ-১ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন মুগ ও গ্রীষ্মকালীন তিল উৎপাদনের জন্য প্রণোদনা দেওয়া হবে।

এর আওতায় প্রতিটি কৃষক পরিবার সর্বোচ্চ এক বিঘা জমির জন্য বিনামূল্যে বীজ ও সার পাবে।

কৃষিমন্ত্রী জানান, ৬৫ হাজার ৭০০ জন কৃষক গম বীজ, দুই লাখ ২১ হাজার ৫০০ জন ভুট্টা বীজ, দুই লাখ ১০ হাজার ২০০ জন সরিষা, ১০ হাজার ১০০ জন চিনাবাদাম, ১৮ হাজার জন গ্রীষ্মকালীন তিল, ৪৮ হাজার ৪০০ জন গ্রীষ্মকালীন মুগ, ২৪ হাজার ৩০০ জন শীতকালীন মুগ, ১৩ হাজার ৬০০ জন খেসারী, পাঁচ হাজার ৪০০ জন ফেলন, দুই হাজার ৭০ জন বিটি বেগুন এবং ৭১ হাজার ৭০০ জন কৃষক বোরো বীজ পাবেন।

এক বিঘা জমিতে চাষাবাদের জন্য প্রত্যেক কৃষক ২০ কেজি গম, পাঁচ কেজি ধান, দুই কেজি ভুট্টা, এক কেজি সরিষা, ১০ কেজি চীনাবাদাম, এক কেজি গ্রীষ্মকালীন তিল, পাঁচ কেজি গ্রীষ্মকালীন মুগ, আট কেজি খেসারী, পাঁচ কেজি মাষকলাই, সাত কেজি ফেলন এবং ২০ গ্রাম বিটি বেগুনের বীজ পাবেন।

ধান, গম, ভুট্টা, গ্রীষ্মকালীন তিল, সরিষা ও বিটি বেগুন চাষে প্রত্যেক কৃষক ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার পাবেন।

আর চীনাবাদাম, গ্রীষ্মকালীন মুগ, শীতকালীন মুগ, খেসারী, মাষকলাই ও ফেলন চাষে প্রত্যেক কৃষককে ১০ কেজি করে ডিএপি ও পাঁচ কেজি করে এমওপি সার দেবে সরকার।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কৃষককের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে প্রণোদনার অর্থ পাঠিয়ে দেওয়া হবে জানিয়ে মতিয়া সাংবাদিকদের বলেন, “প্রণোদনা বিতরণে অনিয়ম হলে তা আপনারা তা তুলে ধরবেন, আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।”

প্রণোদনার অর্থ কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাজেট থেকে বরাদ্দ দেওয়া হবে; এজন্য সরকারের অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন হবে না বলে জানান মন্ত্রী।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নাসিরুজ্জামান ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।