• Saturday, December 21, 2024

সৌদি ছাড়লো খাশোগির পরিবার

  • Oct 26, 2018

Share With

অবশেষে বিদেশ গমনের সুযোগ পেয়েছেন ইস্তাম্বুলে হত্যার শিকার প্রখ্যাত সাংবাদিক জামাল খাশোগির বড় ছেলে সালাহ বিন জামাল খাশোগি। ইতোমধ্যেই তিনি পরিবার নিয়ে সৌদি আরব ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন।1

এর আগে তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটে তার বাবা নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই তিনি বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞায় ছিলেন।

সৌদি সরকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলে গতকাল বৃহস্পতিবার সালাহ খাশোগি তার পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে এ উপসাগরীয় রাজ্যটি ত্যাগ করেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়।

সালাহ সৌদি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের নাগরিক। কয়েক মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রে পাসপোর্ট জটিলতায় পড়ে তিনি সৌদিতে এসেছিলেন। এরপর কিছুদিন তিনি ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে গমন করতে পারছিলেন না।

এদিকে, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র জানিয়েছেন, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও খাশোগির ছেলের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ জটিলতার সমাধানে তাগাদা দিয়েছিলেন।

এর আগে মঙ্গলবার সাংবাদিক জামাল খাশোগির পরিবার ও সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যে সাক্ষাৎ হয়। রিয়াদের একটি প্রাসাদে তারা মিলিত হন। এসময় খাশোগির দুই ছেলে সালাহ ও সাহেলকে সান্ত্বনা দেন বাদশাহ ও যুবরাজ।

যদিও সোমবার সালাহকে ফোন করে সমবেদনা জানিয়েছিলেন যুবরাজ সালমান।

২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে ব্যক্তিগত কাগজপত্র আনার প্রয়োজনে গেলে নিখোঁজ হয়ে যান সাংবাদিক খাশোগি। এ ঘটনার পর থেকে তুরস্ক দাবি করে আসছিল- সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরেই জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে।

প্রথম দিকে অস্বীকার করে নানা রকম কথা বললেও ঘটনার ১৭ দিন পর কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে খাশোগি নিহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সৌদি। তবে তারা দাবি করে, কনস্যুলেটরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মারামারি করে নিহত হন খাশোগি।

পরে কনস্যুলেটরের বাগানের মধ্যে খাশোগির মরদেহের একটি টুকরো পাওয়া যায় বলেও সংবাদ প্রকাশ করে গণমাধ্যম।

সৌদির ক্রাউন প্রিন্স সালমানের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে।

যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা-নির্বাসিত খাশোগি ছিলেন বাদশাহ-যুবরাজসহ সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক।