রাজশাহীতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে প্রতিরোধ করা হবে ॥ মেয়র লিটন
- Nov 09, 2018
ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ থেকে শান্তির শহর রাজশাহীতে যেন কেউ বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে এ জন্য মাঠে অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতার মাধ্যমে শান্তির শহর রাজশাহীকে অশান্ত করবে এটা আমরা হতে দিতে পারি না। এটি প্রতিরোধ করার জন্যই অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট জনসভা বা সমাবেশ করতেই পারেন। এগুলোতে আমাদের কোনো বাধা নেই। তবে তাদের কতিপয় নেতা পরিকল্পনা করছেন, তারা এখান থেকে এমন একটা কিছু করতে চান, যার মাধ্যমে আন্দোলন বেগমান করতে পারেন, নির্বাচন পেছাতে পারেন। তারা বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতার মাধ্যমে শান্তির শহর রাজশাহীকে অশান্ত করবে এটা আমরা হতে দিতে পারি না। এটি প্রতিরোধ করার জন্যই আমরা অবস্থান নিয়েছি।
ঐক্যফ্রন্টের সভার আগের, মধ্যবর্তী অথবা ফেরত যাওয়ার সময় কেউ যদি বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খবর দিতে হবে। জনগণের জান-মাল রক্ষা করার দায়িত্ব অবশ্যই আমাদেরও আছে। আমরা সেটি পালন করতে চাই। আমরা আগ বাড়িয়ে কিছু করতে চাই না। তবে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে প্রতিরোধ করা হবে।’
আজ শুক্রবার অবস্থান কর্মসূচিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা সন্ধ্যা পর্যন্ত নিজ নিজ এলাকায় সর্তক অবস্থানে থাকবেন। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেয়া হবে না।
জানা গেছে, রাজশাহীর শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে এবং বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে বেলা ১১টা থেকে নগরীর সাহেববাজার বড় সমজিদের সামনে অবস্থান নেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এরপর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বড় সমজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে মনিচত্বর থেকে বাটারমোড় হয়ে পুনরায় সেখানে এসে শেষ হয়। এরপর দুপুর ১টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান নিয়ে থাকেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সহ-সভাপতি মাহফুজুল আলম লোটন, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, মুক্তিযোদ্ধ মীর ইকবাল, মোজাফফর হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড আসলাম সরকার, উপ-প্রচার সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহমেদ লেমন, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, মহানগর যুবলীগের সভাপতি রজমান আলী, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বাচ্চু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাজিবসহ মহানগর আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবন্দ, মহিলা আওয়ামী লীগ, বোয়ালিয়া, রাজপাড়া, শাখ মখদুম থানা আওয়ামী লীগের নেতৃবন্দসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।