• Thursday, November 21, 2024

গণঅভ্যুত্থান ও ব্যক্তি-সম্পর্কের টানাপড়েন

  • Aug 21, 2024

Share With

আমীন আল রশীদ :

মানুষে মানুষে সম্পর্ক কি এতই ঠুনকো যে কে তার ফেসবুক প্রোফাইল লাল করলেন আর কে কালো—তার ওপর নির্ভর করে বন্ধুত্ব ভেঙে যাবে কিংবা একজন আরেকজনকে ‘সরকারবিরোধী’ অথবা ‘স্বৈরাচারের দোসর’ বলে গালি দেবেন? আমাদের সম্পর্কগুলো হয়তো এমনই। বিশেষ করে যাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব ফেসবুকে। যারা ‘ফেসবুক বন্ধু’। প্রশ্ন হলো, সাম্প্রতিক আন্দোলন বা গণঅভ্যুত্থান কি ফেসবুকের বাইরে অনেকের দীর্ঘদিনের প্রকৃত বন্ধুত্বেও চিড় ধরিয়েছে? এই আন্দোলন কি ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কের মাঝখানেও একটা দেয়াল তুলে দিয়েছে? সেই দেয়াল কীভাবে ভাঙবে?

ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক

প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পরে গত ১৮ আগস্ট রবিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে। পরদিন সোমবার কথা হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের সঙ্গে—যিনি সাম্প্রতিক আন্দোলনে বেশ সক্রিয় ছিলেন। বললেন, এই আন্দোলন ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে একটা দেয়াল তুলে দিয়েছে। যে শিক্ষকরা আন্দোলনে সরকারের পক্ষে তথা শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, তারা ক্লাসে যেতে সংকোচবোধ করছেন। এমনকি যারা কোনও পক্ষে না গিয়ে নীরব থেকেছেন, তারাও শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের মুখে পড়ছেন, তারা কেন চুপ ছিলেন? তারা ব্যাখ্যা জানতে চাইছেন। একই কথা বলেছেন নেত্রকোনার একটি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি জানান, এই আন্দোলনে এত বেশি প্রাণহানি না হলে, বিশেষ করে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী নিহত না হলে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের মাঝখানে এত বড় দেয়াল তৈরি হতো না। কিন্তু যে শিক্ষার্থীরা তার কোনও সহপাঠীকে হারিয়েছে; যাদের বন্ধুরা আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন—তাদের মনের ভেতরে দারুণ ক্ষোভ। বিশেষ করে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা হয়েছে এবং যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বা প্রশাসনের কর্তারা তাদের সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় এগিয়ে আসেননি বা সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন—তাদের অনেকে পদত্যাগ করলেও শিক্ষার্থীদের মন থেকে রাগ ও ক্ষোভ মুছে যায়নি। এসব ঘটনায় ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কে তৈরি হওয়া টানাপড়েন কীভাবে ঘুচবে, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।

ফেসবুক প্রোফাইলের রঙ

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনটি যখন সরকার পতনের এক দফা দাবিতে পরিণত হলো এবং যখন এই আন্দোলনের পেছনে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর যুক্ততা স্পষ্ট হতে থাকলো; যখন সরকার এই আন্দোলন দমনের জন্য রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোর মাধ্যমে সর্বোচ্চ ক্ষমতার প্রয়োগ ঘটিয়ে ব্যাপক মানুষের প্রাণ সংহার করলো—তখন একদিকে নিহতদের স্মরণে সরকারের জাতীয়ভাবে শোক পালন, অন্যদিকে এই কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের গতি বাড়ানোর দিনগুলোয় একপক্ষ নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইল কালো করলেন, আরেক পক্ষ লাল।

যারা প্রোফাইল কালো করলেন, ধরে নেওয়া হলো যে তারা সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে নিহতদের স্মরণে শোক পালন করছেন। অতএব তারা সরকারপন্থি। সরকারপন্থি মানে আওয়ামীপন্থি। আওয়ামীপন্থি মানে তারা আন্দোলনের বিপক্ষ শক্তি।

অন্যদিকে যারা প্রোফাইল লাল করলেন, ধরে নেওয়া হলো যে তারা সরকারের ওই কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করে বিপ্লবের রঙ ধারণ করেছেন এবং আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। ধরে নেওয়া হলো যে তারা সরকারবিরোধী। সরকারবিরোধী মানে তারা আওয়ামী লীগ-বিরোধী। আর সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এই ন্যারেটিভও দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে যে সরকার ও আওয়ামীবিরোধী মানেই তিনি মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধ শক্তি। মূলত এই বিপজ্জনক ন্যারেটিভ দিয়ে ‍পুরো জাতিকে দ্বিধাবিভক্ত করে রাখা হয়েছে—যেটি আরও বেশি প্রকাশ্য হয়েছে সাম্প্রতিক আন্দোলনে।

বিপ্লব, অভ্যুত্থান, দ্বিতীয় স্বাধীনতা

যারা এই আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন, রাজপথে থেকে মিছিল করেছেন, পুলিশের টিয়ারশেল খেয়েছেন, গুলির মুখে পড়েছেন—তারা এই আন্দোলনকে বলছেন ‘বিপ্লব’। তারা অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে অর্জিত বিজয়কে বলছেন ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’। অতি উৎসাহী কেউ কেউ এটাকে প্রথম স্বাধীনতাও বলে ফেলেছেন।

প্রশ্ন হলো, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে তাহলে কী হয়েছে? ৩০ লাখ মানুষ যে প্রাণ দিলেন; দুই লাখ নারী যে সম্ভ্রম হারালেন এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সাড়ে সাত কোটি মানুষ রুখে দাঁড়িয়ে যে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম দিলেন—সেটি কয় নম্বর স্বাধীনতা? নাকি ১৯৭১ সালে এই দেশে কিছুই হয়নি?

বছরের পর বছর এই দেশের অগণিত মানুষ ১৯৭১ সালকে ‘গণ্ডগোলের বছর’ আর বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকে ‘ভারত-পাকিস্তানের লড়াই’ বলে যে এত বড় একটি অর্জনকে ম্লান করার চেষ্টা করেছেন—এখন কি তাহলে সেই বিষয়টিকেই প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চলছে? সুতরাং সাম্প্রতিক আন্দোলনটি অভ্যুত্থান, গণঅভ্যুত্থান, সরকারবিরোধী আন্দোলন, বিপ্লব নাকি ‘মুক্তিযুদ্ধ’—এটিও এখন ব্যক্তিগত ও সামাজিক পরিসরে নানামাত্রিক আলোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে। এই ধরনের আলোচনা ও বিতর্ক অ্যাকাডেমিক পরিসরে বা গঠনমূলক পর্যায়ে থাকলে সংকট তৈরি হয় না। কিন্তু বিপত্তি বাধে যখন এই আলোচনাগুলো আর অ্যাকাডেমিক পর্যায়ে থাকে না। যখন ফেসবুক প্রোফাইল লাল কি কালো—সেই রঙ দিয়ে রাজনৈতিক আদর্শ ও পক্ষপাত বিবেচনা করা হয়। অথচ অসংখ্য মানুষ ফেসবুক প্রোফাইল লাল বা কালো কিছুই করেননি। যারা করেননি, তাদেরও অনেককে বলা হয়েছে ‘সুবিধাবাদী’। ব্যক্তিগতভাবে এরকম অনেককে চিনি, যারা এ ধরনের ট্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন।

বছরের পর বছর ধরে এই দেশে সরকার ও আওয়ামী লীগের গঠনমূলক সমালোচনা করলেও তাকে বিএনপি-জামায়াত ট্যাগ দেওয়া হয়েছে। অসংখ্য লেখক, সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট যারা সুযোগ পেলে নৌকায় ভোট দেন কিংবা বঙ্গবন্ধুর কারণে আওয়ামী লীগের প্রতি কিছুটা দুর্বল, এমন অনেকে শুধু শতভাগ নিঃশর্ত আনুগত্য প্রকাশে ব্যর্থতার কারণে সরকারবিরোধী বা শত্রুপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

সাম্প্রতিক আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানেও সেই একই কায়দায় পরস্পরের প্রতি কাদা ছোড়াছুড়ি চলেছে। বিশেষ করে আন্দোলনের শেষ দিনগুলোয়। ব্যক্তিগত আক্রমণ এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে ৫ আগস্টের আগে ফেসবুকে কে কী লিখেছেন আর ৫ তারিখ থেকে কী লিখেছেন; সেখানে কোনও স্ববিরোধিতা আছে কিনা কিংবা তিনি স্পষ্টত কোনও পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন কিনা—সেটিও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

গণমাধ্যমকর্মীদের বিপত্তি

সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে একটা বিরাট জটিলতা হলো তারা অন্য পেশার মানুষের মতো চাইলেই কোনও একটি পক্ষ নিয়ে অ্যাক্টিভিস্ট হয়ে রাস্তায় নেমে যেতে পারেন না বা ফেসবুকে আর দশ জনের মতো কোনও একটি পক্ষে সরাসরি নিজের অবস্থান ঘোষণা করতে পারেন না। সাংবাদিকদের মধ্যে যারা কোনও না কোনও রাজনৈতিক দলের লোক হিসেবে চিহ্নিত বা বিগত সরকারের আমলে নানাভাবে সুবিধা নিয়েছেন বলে জনমনে ধারণা রয়েছে, তারা বাদে প্রকৃত অর্থেই যেসব সাংবাদিক কোনও দল ও মতকে ধারণ করেন না বা করলেও সেটি প্রকাশকে পেশাদারি আচরণ মনে করেন না, এবারের অভ্যুত্থানে তাদেরও অনেকে নেট দুনিয়ায় আক্রমণের শিকার হয়েছেন—যে আক্রমণগুলো এসেছে মূলত বন্ধু, সহকর্মী ও পরিচিতজনদের কাছ থেকেই। অর্থাৎ তিনি ফেসবুকে কী লিখলেন বা লিখলেন না—তার ওপর ভিত্তি করে তার ব্যাপারে একটা জাজমেন্ট দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বস্তুত যেকোনও রাজনৈতিক সংকট বা অভ্যুত্থানের সময় মানুষ অনেক বেশি দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায় এবং তার ফলে অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কেও চিড় ধরে। পারস্পরিক বোঝাপড়ায় ঘাটতি দেখা দেয় এবং প্রত্যেকে নিজের বিশ্বাস ও আদর্শের বিপরীত মানুষটিকে শত্রুগণ্য করে থাকেন।

গণঅভ্যুত্থানের সময় ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেক ঘটনা ঘটে। যেমন—

১. গণঅভ্যুত্থানের সময় মানুষ কোনও একটি বা একাধিক লক্ষ্য সামনে রেখে একত্রিত হয়। এই সাধারণ লক্ষ্যগুলো ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলোকে মজবুত করে। অর্থাৎ যারা এই লক্ষ্যে একত্রিত হচ্ছেন তাদের মধ্যে সম্পর্ক সংহত হয়। রাজপথে অনেক নতুন মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যে সম্পর্ক চূড়ান্ত রূপও নিতে পারে।

২. অভ্যুত্থানের সময় মানুষ একে অপরকে সাহায্য করে এবং সহযোগিতা করে। যেমন কেউ খাবার ও পানি এগিয়ে দেয়। আহত লোককে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। টিয়ারশেলের ঝাঁজ থেকে রক্ষা করতে একজন আরেকজনের চোখ হয়তো ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুছে দেয়। অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধ পরিবেশে একসঙ্গে দীর্ঘ সময় পাশাপাশি অবস্থানের কারণে পরস্পরের প্রতি মায়া, ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ বেড়ে যায়। যা সম্পর্কগুলো আরও দৃঢ় করে।

৩. অভ্যুত্থান মানুষকে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে আরও সচেতন করে তোলে। এটি পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা এবং বিতর্কের মাধ্যমে সম্পর্ক আরও নিবিড় করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে।

আবার এর উল্টোটাও ঘটে। যেমন

১. অভ্যুত্থানের সময় পরস্পরের মধ্যে রাজনৈতিক মতবিরোধ সৃষ্টি হতে পারে এবং পরিবার ও বন্ধুদের মধ্যেও বিভক্তি ঘটাতে পারে।

২. রাজনৈতিক বিশ্বাস ও আদর্শের ভিন্নতা ব্যক্তিগত সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়। একজন আরেকজনকে বিশ্বাস করতে পারে না। এমনকি একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস কিংবা কারও স্ট্যাটাসের নিচে কোনও একটি মন্তব্যকে ঘিরেও এমন একটি জটিলতা তৈরি হতে পারে, যার মধ্য তিনি হয়তো তার কোনও প্রিয়জনের কাছেই অপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেন।

৩. পরিবার, কর্মস্থল ও সামাজিক চাপের কারণে মানুষ অনেক সময় নিজের মতামত প্রকাশ করতে ভয় পায়, যা পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও জটিল করে তোলে। অর্থাৎ তার সহকর্মী ও বন্ধুরা তার কাছ থেকে যে ধরনের প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশা করেন, তিনি সেই প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হলে প্রতিপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যান।

৪. অভ্যুত্থান অনেক সময় মানুষের মধ্যে বিশ্বাসের সংকট তৈরি করে। তার রাজনৈতিক বিশ্বাস নিয়ে সংশয় দেখা দিতে পারে। দোলাচল তৈরি হতে পারে।

৫. অভ্যুত্থানের সময় সামাজিক চাপ বেড়ে যায়, যা মানুষকে নিজের মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে নানাভাবে বাধা দিতে পারে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেননা তার একটি নির্মোহ মন্তব্যও প্রতিপক্ষের জন্য অনেক বড় অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে।

৬. ব্যক্তিগত মতামত অনেক সময় পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে পারে।

সমাধান কী?

এরকম জটিল পরিস্থিতি ও সময়ে প্রত্যেকের মাথায় অন্তত এটি থাকা দরকার যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক কোনও কিছুর চেয়েই বড় নয়। সুতরাং পরস্পরকে শোনা ও বোঝা এবং তার সীমাবদ্ধতাগুলো উপলব্ধি করতে পারা জরুরি। পরস্পরের মতামতকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করা প্রয়োজন। আমি যা করছি, বলছি ও লিখছি—সেটিই সঠিক এবং আমার মতো করেই পৃথিবীর সবাইকে লিখতে, ভাবতে, বলতে ও করতে হবে, এই ধারণাটিই আত্মঘাতী। এই ধরনের আত্মকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা ব্যক্তিকে তার বন্ধু ও পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

তবে এটা ঠিক যে সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থান ব্যক্তিগত সম্পর্কের ওপর কতভাবে প্রভাব ফেলেছে বা ফেলছে, তা নিয়ে একটা দারুণ গবেষণা হতে পারে।

লেখক: সাংবাদিক

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন